চীনের ‘জলসীমা’য় আরো অনুপ্রবেশের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

Looks like you've blocked notifications!
চীনের দাবি করা জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস ল্যাসেন। ছবি : রয়টার্স

চীনের দাবি করা জলসীমায় আবারো নৌ-জাহাজ অনুপ্রবেশের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিন আগেই দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি কৃত্রিম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী মার্কিন জাহাজ ইউএসএস ল্যাসেন অনুপ্রবেশ করে। ঘটনার পর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বেইজিং। 

বেইজিংয়ে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় চীনের সরকার। বেইজিং অভিযোগ করে বলে, চীনের কৃত্রিম দ্বীপের কাছাকাছি জাহাজের অনুপ্রবেশের ঘটনা একটি গুরুতর প্ররোচনা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার সতর্ক করে বলেন, ওই এলাকায় নৌ-অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘ওই অঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নৌ-অভিযান চলছে এবং আসন্ন সপ্তাহ ও মাসগুলোতে আরো চলবে।’ গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৬টা ৪০ মিনিটে মার্কিন নৌবাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-অভিযান শুরু করে।

অ্যাশ কার্টারের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইউএসএস ল্যাসেন বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের জলসীমার ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে থেকে ঘুরে আসে। এ জায়গাটির কারণেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবারের অভিযান সম্পর্কে আগে থেকে চীনকে জানানো হয়নি।

সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝ্যাং ইয়েসুই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘এ অভিযান চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’ চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যাক্স বাউকাসের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং সাংবাদিকের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে চীন অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। নৌ-অভিযানকে তিনি চীনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে জানান।

চীন পাল্টা সামরিক অভিযান চালাবে কি না জানতে চাইলে লু বলেন, ‘আমি কাল্পনিক প্রশ্নের উত্তর দেব না। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা বিপর্যয় ডেনে আনবে।’

লু ক্যাং বলেন, ‘প্ররোচনামূলক আরো পদক্ষেপ নিলে দক্ষিণ চীন সাগরে দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ করবে বেইজিং।’

ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস বলেছে, ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতার বিষয়টি পেশিশক্তি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা উচিত হবে না। প্ররোচনামূলক বক্তব্য ও কর্ম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকা উচিত। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশটি ভূমিকা রাখতে পারে।’