যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে ভীত নয় চীন

Looks like you've blocked notifications!
দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা চীনের নেই, তবে দেশটির সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যেতে ভীত নয় তারা। ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা চীনের নেই, তবে দেশটির সঙ্গে যুদ্ধে যেতে ভীত নয় তারা। আজ বুধবার সরকার নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এ দাবি করেছে। আর বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনেও একই দাবি করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং। 

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ বিতর্কিত দ্বীপের কাছে যাওয়ায় একদিন পরই চীন এ কথা জানাল। এর আগে ঘটনার দিন, অর্থাৎ গতকালই যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। তবে এমন আরো ঘটতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ চীন সাগরে একটি চীনা দ্বীপের কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, দ্বীপটিতে কোনো সামরিক ঘাঁটি করা হচ্ছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং বলেছিলেন, কৃত্রিম দ্বীপে কোনো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হবে না। 

ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরই আজ চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ‘গ্লোবাল টাইম’-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিতর্কিত দ্বীপে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে চীনের দাবীকৃত ভূমির ওপর হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ কৌশলে মোকাবিলা করবে চীন এবং প্রস্তুত থাকবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য। 

গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর বিষয় হলো, জাতীয় স্বার্থ ও সম্মান রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চীন। সরাসরি যুদ্ধে ইচ্ছুক না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে চীন ভীত নয়। 

বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের কোনো সামরিক পদক্ষেপ এখনই নিচ্ছেন না তারা। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর দিতে প্রস্তুত আছেন। 

আফগানিস্তান ও ইরাকের বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী। আজ এক সম্পাদকীয়তে এমনটাই জানিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনীর সংবাদপত্র ‘পিপল লিবারেশন আমি ডেইলি’। এতে আরো বলা হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত বিষয় যে বেপরোয়াভাবে সামরিক বাহিনী চালিয়ে যুদ্ধ বাধায় যুক্তরাষ্ট্র। অনেক শান্ত দেশে সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ক্ষতি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

অবশ্য চীনের ক্ষোভ ও হুমকির প্রতি কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। উপরন্তু চীনের দ্বীপের কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর মতো ঘটনা আরো ঘটতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকালই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেন, ‘নৌ চলাচলে স্বাধীনতার’ অভিযান আরো চালাবেন তারা। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেসব স্থান উন্মুক্ত, সেখানে বিমান ও জাহাজসহ সব ধরনের অভিযানই চালাবে যুক্তরাষ্ট্র।