যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ ফাটল!
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্যের বিগহর্ন পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে কাছের জনবসতিটিও ১০ মাইল দূরের ছোট শহর টেন স্লিপ। কিছু শিকারি ও ঘুরে বেড়ানো মানুষ কালেভদ্রে বিগহর্নে যান। এ অঞ্চলেই হঠাৎ করে বিশালাকৃতির ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল এতটাই বড় যে প্রথম দৃষ্টিতে গিরিখাত বলেই মনে হয়। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে ভূতত্ত্ববিদরা একে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখছেন।
বিগহর্ন পাহাড়ি অঞ্চলের ফাটলের ছবি অনলাইনে ২৪ অক্টোবর প্রথম প্রকাশ করেছে ওয়াইওমিংয়ের শিকার ও ঘোরাঘুরিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এসএনএস আউটফিটার অ্যান্ড গাইডস’। সংগঠনটির ফেসবুক পেজে পোস্টকৃত ছবির বর্ণনায় লেখা হয়, দুই সপ্তাহ আগে বিগহর্ন পাহাড়ি অঞ্চলের একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এলাকায় এই ফাটল দেখা যায়। সবাই একে গভীর খাত বলছে। দেখতে এটি অসাধারণ সুন্দরই বলতে হবে।
‘এসএনএস আউটফিটার অ্যান্ড গাইডস’ পরে তাঁদের ফেসবুক পেজে জানায়, গত সোমবার একদল প্রকৌশলী ওয়াইওমিং থেকে বিগহর্নের ফাটলের কাছে এসেছিল। তাঁরা মনে করেন, নিচের ছোট একটি ঝর্ণার কারণে এমন ফাটল দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ফাটলের আরো ছবি তোলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবি দেখেই অনেকে অজানা আতঙ্কে শিউরে ওঠেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে অনেকে একে অদূর ভবিষ্যতের বড় কোনো ভূমিকম্পের সংকেত বলে মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভীতিকর সব মন্তব্যকে পাত্তা দেননি ভূতত্ত্ববিদরা।
অনেক ভূতত্ত্ববিদের মতে, পাহাড়ের নিচে ফাঁকা হওয়া এবং ধীরে ধীরে ঘটা কোনো ভূমিধসের কারণেই ওয়াইওমিংয়ের বিগহর্ন পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাঁদের মতে, ফাটল আরো বাড়তে পারে। গবেষকরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পাহাড়ের নিচে ফাঁকা থাকবে, ততক্ষণই ফাটল বড় হতে থাকবে।
ওয়াইওমিংয়ের ভূতত্ত্ববিদ সেথ উইটকে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন্ড টিভিকে বলেন, ‘ধীরে ধীরে ভূমিধসের কারণে বিগহর্নের ফাটল দেখা দিয়েছে। অন্তত ছবি দেখে বিষয়টি তাঁর কাছে এমনই মনে হয়। তবে এর কাছে গিয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
ভূতত্ত্ববিদ সেথ উইটকে আরো বলেন, ভূমির আর্দ্রতা, পানিপ্রবাহ, ঝর্ণাসহ বিভিন্ন কারণে ভূমিধস হতে পারে। ফাটলের অঞ্চলে যত পর্যন্ত ফাঁকা থাকবে, ততই ফাটল বাড়বে।