ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ব্যাপক সংঘর্ষ
ইকুয়েডরে জ্বালানি তেলে সরকারি ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করলে দেশটিতে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ দেশটির রাজধানী কুইটোর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে সরকারি দপ্তরের কাছে পাথর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়্যার গ্যাস ছোড়ে। বাতা সংস্থা এএফপি ও বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট মোরেনো সাংবাদিকদের জানান, তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
পরিবহন খাত এ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিলেও এতে শিক্ষার্থী ও অন্যান্য গ্রুপও অংশগ্রহণ করেছে। ইকুয়েডরে গত এক দশকের মধ্যে এটি হচ্ছে সর্ববৃহৎ আন্দোলন।
বিক্ষোভকারীরা দেশটির কিছু এলাকায় সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা একেবারে অচল করে দিয়েছে। এদিকে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পলা রোমো জানান, এ ঘটনায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকজন চিত্রগ্রাহক আহত হয়েছেন।
ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ১২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ চলছে।