বাড়ির পেছনেই সারা বিশ্ব!

Looks like you've blocked notifications!

ঘরের পেছনেই সারা বিশ্ব, যা হেঁটেই ঘুরে আসা যায় কয়েক মিনিটে। বিশ্বাস না হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখানে প্রকৃত বিশ্ব নয়, বলা হচ্ছে ডেনমার্কের বিখ্যাত বিশ্ব প্রতিরূপের কথা। দেশটির একটি হ্রদের পাশেই দেখা যায় মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি বিশ্বের এই প্রতিরূপ।  

ডেনমার্কের বিশ্বের প্রতিরূপের অবস্থান দেশটির ক্লেজট্রাপ হ্রদের এক পাশে। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে সরেন পোলসান নামে দেশটির এক অধিবাসী বিশ্বের প্রতিরূপটি তৈরি করেন। এটি তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে দুই টনের বেশি পাথর এবং মাটি ও ঘাস। 

পৃথিবীপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল যেখানে ৫১ কোটি ৭২ লাখ বর্গকিলোমিটার, সেখানে ডেনমার্কের প্রতিরূপ মাত্র চার হাজার বর্গফুট। প্রতি ১১ ইঞ্চি হলো পৃথিবীর ৬৯ মাইল। এখানে প্রতিটি মহাদেশ এবং সেখানাকার ভৌগোলিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। 
ডেনমার্কের বিশ্বের প্রতিরূপ তৈরির পেছনের গল্পটিও বেশ উৎসাহব্যঞ্জক। ১৯৪৩ সালের একদিন বাড়ির উন্নয়নের কাজ করছিলেন সরেন পোলসান। ওই সময় একটি পাথর নজরে এলো তাঁর। পাথরটি ডেনমার্কের জাটল্যান্ড এলাকার মতো দেখতে। হঠাৎ তাঁর মাথায় চিন্তা এলো, আচ্ছা পুরো পৃথিবীই পাথর আর মাটি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা যাক না কেন, যেখানে থাকবে সব মহাসাগর, মহাদেশ ও দেশ। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু হলো সরেনের বিশ্ব তৈরির কাজ। 

১৯৪৪ থেকে ১৯৬৯ টানা ২৫ বছর ধরে বিশ্বের প্রতিরূপ তৈরির কাজ করেছেন সরেন পোলসান। প্রতি শীতে ক্লেজট্রাপ হ্রদের পানি বরফে পরিণত হলে সেখানে পাথর নিয়ে রাখতেন তিনি। গ্রীষ্মেই পানিতে স্থায়ীভাবে বসে যেত পাথর। পরে পাথরের ওপর মাটি ও ঘাস দিয়ে ঢেকে দিতেন সরেন। 
বর্তমানে সরেনের বিশ্ব প্রতিরূপে মহাদেশের মধ্যে থাকা প্রতিটি দেশ পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবার মাহাদের মধ্যে থাকা মরুভূমি, হ্রদ, বড় নদীও চিহ্নিত করা হয়েছে।