ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে সমাজতন্ত্রীদের পরাজয়

Looks like you've blocked notifications!
ভেনেজুয়েলায় গতকাল রোববার মধ্যরাতে নির্বাচনের আংশিক ফল ঘোষণার পর উল্লাস প্রকাশ করে সরকারবিরোধীরা। ছবি : এএফপি

নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির বিরোধী জোট। এর ফলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর সেই দেশের ক্ষমতা থেকে সরতে হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক দলকে।

গতকাল রোববার দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যরাতে ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, আইনসভার ১৬৭টি আসনের মধ্যে অন্তত ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে বিরোধী জোট ডেমোক্রেটিক ইউনিটি মুভমেন্ট পার্টি (এমইউডি)। ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দল পেয়েছে মাত্র ৪৬টি আসন। বাকি ১৯টি আসনের ফল এখনো ঘোষণা করা না হলেও বিরোধী গণতান্ত্রিক জোট একাই যে ভোট পেয়েছে তা দিয়েই তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।

ভোটগ্রহণের ছয় ঘণ্টা পর নির্বাচনের আংশিক ফল ঘোষণা করেন জাতীয় নির্বাচন পরিষদের/ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট তিবিসে লুসেনা। এর পর উল্লাসে ফেটে পড়ে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসের রাস্তাগুলো, পোড়ানো হয় আতশবাজি। গত বছর পূর্ব কারাকাসের রাস্তায় প্রথম শুরু হয়েছিল সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা রক্তাক্ত বিক্ষোভে পরিণত হয়। সেই সময় এই বিক্ষোভে নিহত হন অন্তত ৪৩ জন।

দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধীপক্ষের জয়লাভের খবর পাওয়ার পর পরই বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাদুরো জনগণের উদ্দেশে এক টেলিভিশন বার্তা দেন। সেখানে তিনি বলেন, তার জন্য ফলাফলটি বিরূপ হলেও এর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রপতির ভবন থেকে দেওয়া বাণীতে মাদুরো বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে আজ অর্থনৈতিক যুদ্ধের জয় হলো।’ সেই সাথে এই পরিস্থিতির জন্য লাতিন আমেরিকায় মার্কিন সমর্থিত অভ্যুত্থানকে দায়ী করেন তিনি।  তবে বিরোধীপক্ষকে  একসঙ্গে পথ চলতে আহ্বানও জানিয়েছেন মাদুরো। অবশ্য নির্বাচনের আগে তিনি বেশ দৃঢ়ভাবেই বলেছিলেন যে, যেকোনো প্রকারেই হোক না কেন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। মাদুরো বলেন, ‘আজ আমরা একটি যুদ্ধে হেরে গেলাম। তবে একটি নতুন সমাজ তৈরির সংগ্রাম কেবল শুরু হলো।’

২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দল ইউনাইটেড সোশিয়ালিস্ট পার্টি অব ভেনেজুয়েলার বিরোধিতা করতে প্রতিষ্ঠিত হয় এমইউডি পার্টি।