বাতাস বেচছে কানাডা, দেদার কিনছে চীনারা
নিত্যপ্রয়োজনীয় পানীয় কিংবা খাদ্যসামগ্রী আমদানি-রপ্তানি নতুন কোনো বিষয় নয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশই প্রয়োজনে সেটি করে থাকে। তাই বলে বোতলজাত বাতাস বিক্রি?
একটু অদ্ভুত শোনালেও এমনটিই করছে কানাডার একটি কোম্পানি। ধোঁয়াশা (ধোঁয়া+কুয়াশা) সমস্যায় ভোগা চীনাদের কাছে বিক্রি করেছে বোতলভর্তি বাতাস।
‘ভাইটালিটি এয়ার’ নামের একটি কানাডীয় কোম্পানি এরই মধ্যে ৫০০ বোতল বাতাস বিক্রি করেছে চীনাদের কাছে। আরো বিক্রির অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে কোম্পানিটি।
প্রতিষ্ঠানটির চীনা কার্যক্রম বিভাগের প্রধান হ্যারিসন ওয়াং বলেন, ‘পরবর্তী চালানের জন্য আগাম অর্ডার নিচ্ছি আমরা। আমরা এক হাজার বোতল তৈরির কাছাকাছি।’
সিএনএনের খবরে বলা হয়, চীনাদের কাছে বাতাস বিক্রি করে বোতলপ্রতি ১৪ থেকে ২০ ডলার পাচ্ছে কানাডার কোম্পানিটি। দাম নির্ভর করে বোতলের আকার ও পরিমাণের ওপর।
ভাইটালিটি এয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোজেজ ল্যাম বলেন, চীনের ক্রেতাদের বিশুদ্ধ বাতাস সরবরাহ করতে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার চার ঘণ্টা ভ্রমণের পর কানাডার আলবার্টার বানফ এলাকায় যান তিনি। সেখানে ১০ ঘণ্টা অবস্থান করে বোতলে বাতাস ভরেন।
ল্যাম বলেন, মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করা বাতাস বিক্রি করতে চান না। তাই তাঁরা নিজ হাতে বোতলে বিশুদ্ধ বাতাস ভরছেন।
বাতাস বিক্রির বিষয়ে হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়ালেস লিউং সিএনএনকে বলেন, বোতলভর্তি বাতাস কেনা চীনের ধোঁয়াশা সমস্যার সমাধান করতে পারে না। বরঞ্চ চীনের উচিত বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে ব্যবস্থা নেওয়া।
চীনের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়াশা একটি বড় সমস্যা। দেশটিতে শীতকালে বাড়ি ও কারখানা গরম রাখতে প্রচুর কয়লা পুড়ানো হয়। এতে কুয়াশার সঙ্গে ধোঁয়া মিশে বায়ু দূষিত হয়ে যায়।
গত সপ্তাহে ধোঁয়াশার কারণে বেইজিংয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।