মুসলমানদের সঙ্গে একাত্মতা প্রদর্শন করে মাথায় হিজাব বা স্কার্ফ ব্যবহার করায় যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষককে বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। দেশটির শিকাগোর খ্রিস্টান কলেজে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষকের নাম ল্যারিসিয়া হকিংস। তিনি পূর্ব শিকাগোর ওয়েটন কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

গতকাল বুধবার শিকাগো চার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যারিসিয়া গণমাধ্যমকে জানান, কিছুদিন ধরে তিনি মুসলমান নারীদের অনুকরণে মাথায় হিজাব ব্যবহার করছিলেন। তিনি বলেন, ‘খ্রিস্টের আবির্ভাবের অনুপ্রেরণায়, আমার বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছায় আমি এটা করেছিলাম।’

ল্যারিসিয়া বলেন, জঙ্গিবাদের উত্থানের ভয়ে এবং নির্বাচিত হলে মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে এ মুহূর্তে দেশটির মুসলমানরা বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় আছে। সে জন্যই তিনি মনে করেন, মুসলমানদের সঙ্গে একাত্মতা প্রদর্শন করা দরকার। আর তাই হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ল্যারিসিয়ার সঙ্গে হুয়েটন কলেজের শিক্ষার্থী ও খ্রিস্টান ধর্মের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, এক বিবৃতিতে কলেজটি জানায়, ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মধ্যকার মিল সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করায় ল্যারিসিয়া হকিংসকে ছুটিকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ‘রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ল্যারিসিয়া হকিংস ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে এমন সব তাত্ত্বিক দ্যোতনা প্রকাশ করেছেন, যার কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠাচ্ছে।’

তবে হিজাবের কারণে ল্যারিসিয়াকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে—এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে কলেজটি। তারা বলছে, তিনি হিজাব পরলেন কি পরলেন না, সেটি কলেজ কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার বিষয় নয়। পুরো বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশা করছেন ল্যারিসিয়া।