যুদ্ধের জন্য যৌথ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। তিন দেশের যুদ্ধবিমানের সম্মিলিত মহড়া শেষ হয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগাররের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বিমান ঘাঁটিতে চলে এই আয়োজন। রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত আর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়ার জন্যই এত প্রস্তুতি।
কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের যুদ্ধবিমানের সম্মিলিত মহড়ার কথা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত গত ২ ডিসেম্বর এটি শুরু হয়। ভার্জিনিয়ার আকাশে উড়াল দেয় যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ র্যাপ্টর, যুক্তরাজ্যের টাইফুন আর ফ্রান্সের দাসু রাফাল যুদ্ধবিমান। কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান মধ্য আকাশে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। প্রতিদিনই কয়েকবার করে এমন মহড়া চলে। আর মহড়ার প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর এফ-১৫ই স্টাইক ইগল ও টি-৩৮ ট্যালন বিমান। তেলবাহী বিমান থেকে মধ্য আকাশে তেল নেওয়ার মহড়াও চলে। আর যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের বিমানগুলো সহায়তার জন্য ছিল রাডারবাহী বিমান। যুদ্ধবিমানের মহড়া শেষ হয় গত শুক্রবার।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেন, র্যাপ্টর, টাইফুন ও দাসু রাফাল তিন ধরনের বিমানই মধ্যপ্রাচ্যের আকাশের সঙ্গে পরিচিত। এ ছাড়া অনেক বিমান একসঙ্গে মহড়ার সুযোগ পেয়েছে। ভার্জিনিয়ার মহড়ার মূল বিষয় ছিল, বৈরী পরিবেশ ও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকির মধ্যেও সফল অভিযান চালানো এবং প্রতিপক্ষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক ওয়ালস বলেন, ভার্জিনিয়ায় মহড়ার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। সম্পূর্ণ একই রকম ব্যবস্থা আছে মধ্যপ্রাচ্যে। তাই কোনো বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের শীর্ষ কমর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে বিমান হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেন। সিরিয়া ও রাশিয়া উভয়েরই কিছু বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র আছে। আইএসের ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে দেশ দুটি থেকে কোনো বিপদের আশঙ্কা আছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া আশ্বাস দিয়েছে সিরিয়ায় তাদের চলমান অভিযান ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন অভিযানে কোনো সমস্যা হবে না। তবে এরপরও সংঘাতের ঝুঁকি কাটছে না, কারণ রাশিয়ার অভিযান সম্পর্কে কোনোকিছু আগাম ধারণা করা যায় না।
কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার একটি এসইউ-২৪ এম বোমারু বিমান ভূপাতিত করে তুরস্ক। এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি।