মঙ্গলে মন্দির!
মঙ্গলে পানি, পাতালপুরী, পিরামিড, নারীর আদলে গড়া মুর্তি আর ইঁদুরের সন্ধান পাওয়ার খবরগুলো জানেন নিশ্চয়ই! যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থার (নাসা) মঙ্গলচারী যান ‘কিউরিওসিটি’র পাঠানো ছবিতে এসব নমুনা দেখে লাল গ্রহ সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল বেড়ে গিয়েছিল আরো। আর সেই কৌতূহল মেটাতেই কি না মঙ্গলচারী যান ‘কিউরিওসিটি’ মর্ত্যের মানুষের ‘কিউরিসিটি’ মেটাতে পাঠাচ্ছে বিস্তর ছবি। আর নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ছবিগুলোতে লাল গ্রহের সাথে নিজেদের ‘নীল গ্রহ’ পৃথিবীর মিল খুঁজছে মানুষ।
গত বছরের শেষদিকে কিউরিওসিটি মঙ্গলের এমন কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে যাতে ‘মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান’ নিয়ে পৃথিবীতে চালু বিতর্ক আরো খানিকটা উসকে দিয়েছে। এই ছবিতে দেখা গেছে, কম্বোডিয়ার আঙ্করভাটের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে একটি মন্দির দেখা যাচ্ছে মঙ্গলে। তবে অনেকেই দাবি করেছেন একটি নয়, ছবিতে মন্দির আছে দুটি। একটির ভেতরে আবার মুর্তিও দেখা যাচ্ছে। তবে এটা সত্যিই কোনো মন্দির নাকি পাথরের স্তূপ, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি কেউই।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএফও সাইটিংস পত্রিকার সম্পাদক দি ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘নাসার ছবিতে আর সবার মতো আমিও পিরামিডের আদলে দুটি স্থাপত্য দেখতে পেয়েছি। আর ওই দুটি পাথরকেই কম্বোডিয়ার আঙ্করভাটের মন্দিরের মতো মনে হচ্ছে। এ ছাড়া খুব ভালো করে দেখলে ছোট মন্দিরটির ভেতরে মূর্তি বসানো রয়েছে বলেও মনে হচ্ছে।’
তবে বরাবরের মতোই মঙ্গলের ছবি নিয়ে এত বিতর্কে কোনোভাবেই অংশ নেয়নি নাসা। আর এতেই পৃথিবীর মানুষের কৌতূহল বাড়ছে বেশি। অনেকে আবার বলছে এ নেহায়েতই আলো-আঁধারির খেলা অথবা লাঠি দেখে সাপ ভাবার মতো বিষয়। তবে এ ‘বাস্তববাদী’ বচনেও মানুষের আগ্রহ কমছে কই? আর এ আগ্রহ জিইয়েই নাসার ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে তর্ক ও বিতর্ক। এই আলোচনা কতটা সঠিক বা ফলপ্রসূ সেটা আগামী সময়ই বলতে পারবে। তবে মানুষের কৌতূহলে বাধা দেয় এমন ক্ষমতা কার !