এজিয়ান সাগরে নৌকাডুবি, ৪৩ শরণার্থীর মৃত্যু
এজিয়ান সাগরে দুটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন শিশুও রয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে এজিয়ান সাগরের ফারমাকোনিসি দ্বীপের উপকূলে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রথম নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ছয় শিশু ও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৪০ সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, এরপর স্থানীয় সময় বেলা ১০টার দিকে ফারমাকোনিসি থেকে একটু দূরে কালোলিমনোস দ্বীপে শরণার্থী বোঝাই আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
কয়েক মাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই নৌকাডুবির ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। কাঠের তৈরি এই দুটি নৌকাতেই ৭০ থেকে ১০০ জন করে আরোহী ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গ্রিসের উপকূলে মাছ ধরার জাহাজের পাশাপাশি গ্রিক কোস্টগার্ডের তিনটি হেলিকপ্টার ও টহল নৌকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টটেক্স এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
আরব বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, গত বছর গ্রিসের সীমান্ত দিয়ে আট হাজার ৫০০ শরণার্থী ইউরোপে পাড়ি দিয়েছে। সাধারণত সিরিয়া ও যুদ্ধকবলিত দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থীরা ইউরোপের প্রবেশদ্বার তুরস্ক সীমান্ত পার করে দেওয়ার জন্য মানবপাচারকারীদের অর্থ দিয়ে থাকে। কিন্তু ওই পাচারকারীরা সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার জন্য ভাঙাচোরা নৌকার ব্যবস্থা করে দেয়। এই কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।