ভ্রূণস্থ মস্তিষ্ক কোষ ধ্বংসের সঙ্গে জিকার সম্পর্ক উদঘাটন
ভ্রূণস্থ মস্তিষ্ক কোষ ধ্বংসের সঙ্গে জিকার সম্পর্ক উদঘাটন করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, জিকা ভাইরাসের সঙ্গে অপূর্ণাঙ্গ মস্তিষ্কের শিশুর জন্ম নেওয়ার মধ্যে জৈবিক সম্পর্ক রয়েছে। এটি এ ধরনের প্রথম প্রামাণিক উদঘাটন। শুক্রবার বিজ্ঞানীরা এ কথা জানান। খবর বাসসের।
ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিকা ভাইরাস মস্তিষ্ক গঠনের সঙ্গে যুক্ত কোষগুলো ধ্বংস করে এগুলোকে অকার্যকর করে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরে অবস্থিত দ্য জন্স হপকিন্স ইনস্টিটিউট ফর সেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও গবেষণায় যৌথ নেতৃত্বদানকারী গিউ লি মিং বলেন, জিকার সঙ্গে মাইক্রোসেফালির সম্পর্কের এটি প্রথম বাস্তব প্রমাণ।
এক বিবৃতিতে গিউ লি মিং বলেন, জিকা আক্রান্ত এলাকাগুলোয় অপরিণত মস্তিষ্কের জন্ম নেওয়া শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের মস্তিষ্কের বহিরাবরণে অস্বাভাবিকতা রয়েছে এবং ভ্রূণস্থ টিস্যুতে জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
ইন-ভিট্রো এক্সপেরিমেন্ট নামে এ পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জিকায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন ধরনের মানবকোষের কথা তুলে ধরেন।
প্রথমটি হিউম্যান নিউর্যাল প্রজেনিটর সেল, যা ভ্রূণস্থ মস্তিষ্কের বহিরাবরণ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ সেল ধ্বংসের ফলে ত্রুটিপূর্ণ মস্তিষ্কের শিশু জন্ম নেয়, যা মাইক্রোসেফালি হিসেবে পরিচিত।
অপর দুটি স্টেম সেল ও নিউরনস। জিকা ভাইরাস দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রথম সেলটি ৯০ শতাংশ সংক্রমিত হয় এবং এক-তৃতীয়াংশ সেল মরে যায়। অপর দুটি সেল তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গবেষণায় বলা হয়, আমাদের ফলাফল স্পষ্টতই দেখাচ্ছে, জিকা ভাইরাস সরাসরি হিউম্যান নিউর্যাল প্রজেনিটর সেলকে ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমিত করতে পারে।
গবেষণাটি সেল স্টেম সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার সহজ ও দ্রুত হবে।