যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু বোমা হামলার হুমকি উত্তর কোরিয়ার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যদি তাদের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর ‘নির্বিচারে’ পরমাণু বোমা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার এ সামরিক মহড়ায় তিন লাখের বেশি মানুষ অংশ নেয় এবং বার্ষিক এ মহড়া সব সময়ই কোনো না-কোনো আলোচনার জন্ম দেয়।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই এই পরমাণু হামলা চালানো হবে। আর এই হুমকিকে বাগাড়ম্বর বলেও মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা মনে করছেন, পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষমতা আছে দেশটির।
গত বছর এক হুমকিতে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা ওয়াশিংটনে আগুনের সমুদ্র বানিয়ে দেবে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার এই সামরিক মহড়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি বলে মনে করে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, কোনো ধরনের দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড ঘটালে তার ফল ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এ বছরের যৌথ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিন লাখ সেনাসদস্য ও ১৫ হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য অংশ নিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, সর্বকালের সবচেয়ে বেশি সদস্যের অংশগ্রহণে এবারের মহড়া হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা ও রকেট উৎক্ষেপণের পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার পরদিনই এ মহড়ার খবর প্রকাশিত হয়। অবশ্য উত্তর কোরিয়ার দাবি, শুধু নিজেদের ব্যবহারের জন্যই তারা এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করছে এবং কাছের লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানার মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাগরে নিক্ষেপের মাধ্যমে পরীক্ষা চালানো হবে।