ইউরোপে অভিবাসন সংকট

বলকান রুট বন্ধ করছে স্লোভেনিয়া

Looks like you've blocked notifications!
অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরে ঠেকাতে গ্রিসের সঙ্গে থাকা সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে স্লোভেনিয়া। ছবি : ইপিএ

বলকান অঞ্চল দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উত্তর ইউরোপ যাওয়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করবে স্লোভেনিয়া। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশটিতে নতুন সীমান্ত আইন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে গ্রিস হয়ে অভিবাসীদের উত্তর ইউরোপ যাওয়া বন্ধ হবে। 

স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিরো সিরার ঘোষণা করেছেন, তুরস্ক ও গ্রিসের সহযোগিতায় আজ বুধবার রাত ১১টায় সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। 

জানা গেছে, মানবিক প্রয়োজনে ও আশ্রয়প্রার্থীদেরই শুধু স্লোভেনিয়ায় ঢোকার সুযোগ দেওয়া হবে। আর স্লোভেনিয়ার এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে মেসেডোনিয়া ও বুলগেরিয়ার সঙ্গে থাকা নিজেদের সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সার্বিয়া। এখন থেকে শুধু বৈধ কাগজপত্র থাকা ব্যক্তিরাই এই সীমান্ত পার হতে পারবে। জানা গেছে, স্লোভেনিয়া সীমান্ত ব্যবহার করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জার্মানিসহ উত্তর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যায়।

অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়াসহ ইউরোপের আটটি দেশ এরই মধ্যে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এমন পদক্ষেপে ইউরোপের পাসপোর্টবিহীন এলাকা নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। 
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অভিবাসন সংকট সমাধানে একটি প্রস্তাবে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্ক। এই প্রস্তাব অনুযায়ী অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে ফেরত পাঠানো হতে পারে। 

জানা গেছে, ইউরোপে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অধিকাংশই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইরাক থেকে এসেছে। এই মুহূর্তে তুরস্কে ২৭ লাখ সিরীয় তুরস্কে বসবাস করছে। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অভিবাসন নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে ইউরোপ। জানা গেছে, গত বছর ১০ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকায় করে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এদের অধিকাংশই তুরস্ক ও গ্রিস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার সীমান্ত হয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে।