আমরা আশাবাদী : নিশা

Looks like you've blocked notifications!
নিশা দেশাই বিসওয়াল। ফাইল ছবি

‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকায় এসেছিলেন। সময়টা ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি বটবৃক্ষের চারা রোপণ করেছিলেন। আজ সেই বটবৃক্ষ মেলেছে ডালপালা, শেকড় গিয়েছে অনেক গভীরে। কেনেডি বৃক্ষ নামে গাছটি দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে।’

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। 
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
নিশা দেশাই বলেন, ‘সেদিন কেনেডি ঢাকায় এসে বলেছিলেন, আমি এখানে বলতে এসেছি আমেরিকা পাশে আছে।’ নিশা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও আমাদের বার্তাটা একই রকম- আমেরিকা পাশে আছে।’
 
নিশা আরো বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, সব রাজনৈতিক ধারার বাংলাদেশিই একটি অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের পথ দেখাতে শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের ভিত্তিতে দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্বের গুণ দেখাবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত, মার্কিন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সামরিক কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে। এর ভিত্তি হচ্ছে চার দশকের বন্ধুত্ব, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা।’

বাংলাদেশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ চার উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে জানিয়ে জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করবে।’

জিয়াউদ্দিন আরো বলেন, “প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘ভারসাম্যপূর্ণ ভবিষ্যতের অংশীদারভিত্তিক উদ্যোগ’-এর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ওই উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী নারীর সমান সুযোগের কথা বলা আছে।”

অনুষ্ঠান শেষে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এর আগে জিয়াউদ্দিন দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বার্তা পড়ে শোনানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতদের স্মরণে এবং দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।