তীরে নিহত আত্মঘাতী হামলাকারী নারী

Looks like you've blocked notifications!
বোকো হারামের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এভাবেই স্থানীয় অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ছবি : রয়টার্স

ক্যামেরুনের একটি স্থানীয় আত্মরক্ষা দলের সদস্যরা একজন নারী আত্মঘাতী হামলাকারীকে হত্যা করেছে। ওই নারী নিজেকে বিস্ফোরকসহ উড়িয়ে দেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বিষমাখানো তীর ছুড়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন আত্মরক্ষাকারী দলটির এক সদস্য।

আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর পুরো দেহে বোমা জড়ানো ছিল। ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নাইজেরিয়া থেকে ক্যামেরুনে আসেন এই হামলাকারী নারী।

ডেইল মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যামেরুনে প্রবেশের পর স্থানীয়রা ওই নারীর পরিচয় জানার জন্য তাকে থামতে বললে তিনি থামেননি। তখনই তাঁর দিকে বিষমাখা তীর ছুড়ে মারা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এসময় সঙ্গে থাকা কিশোরীটি নিজের শরীরে বাধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের সহিংসতা বন্ধের উপায় খুঁজতে নাইজেরিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিতে দেশটির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়া।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের মোরা শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কিছুদিনে চালানো বেশ কয়েকটি হামলায় অন্তত পাঁচ আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছেন। বোকো হারামের হামলা থেকে রিজেদের রক্ষা করতে নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থানীয় আত্মরক্ষা দলগুলোকে অস্ত্র বহনের অনুমতি দিয়েছে। এই দলগুলোর সদস্যদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক জমায়েতের আয়োজন করা, সন্দেহভাজন বা পর্যটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং কাউকে সন্দেহ হলে তা সামরিক বাহিনীকে জানানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

নাইজেরিয়ার বাইরে ক্যামেরুনে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছে বোকো হারাম। ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ক্যামেরুনে ৩৩৬টি হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর মধ্যে ৩৪টিই ছিল আত্মঘাতী হামলা। যাতে ১৭৪ জন নিহত হয়। এসব হামলার ৮০ শতাংশ আত্মঘাতী হামলাকারীই ছিল তরুণী বা কিশোরী। যাদের বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।