‘সীমান্তের মাদ্রাসাগুলো সন্ত্রাসের আখড়া’
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলো দিনকে দিন সন্ত্রাসের আখড়া হয়ে উঠছে। এই মাদ্রাসাগুলোর পড়ুয়াদের ভারতের জাতীয়তা বিরোধী পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলো গোপনে পশু পাচার ও বিভিন্ন রকমের চোরাচালানের চক্র গড়ে তুলছে। এমন সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষ আরো দাবি করেন, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলোতে বড় রকমের অনুদান আসছে বিদেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। সেই অর্থেই সন্ত্রাসবাদ বাড়াতে কাজ করছে তারা।
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শীর্ষ নেতা পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি বক্তব্যও তুলে ধরেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বামফ্রন্ট পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবু বলেছিলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত মাদ্রাসাগুলোতে মৌলবাদ মাথা চাড়া দিচ্ছে। যদিও পরে দলীয় চাপের মুখে নিজের বক্তব্য ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বুদ্ধবাবু।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেও আজ পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। এখনো চোরাপথে ভারতে ঢুকছে সমাজবিরোধীরা। চলছে অনুপ্রবেশ। এই বিষয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই বিষয়টি এবারে রাজ্য বিধানসভায় তুলে ধরা হবে বলেও জানান দিলীপ ঘোষ।