পানামায় ওবামা-রাউলের ইঙ্গিতময় করমর্দন

Looks like you've blocked notifications!
মধ্য আমেরিকার দেশ পানামায় আমেরিকাস সামিটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর এ করমর্দনকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আভাস হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ছবি : রয়টার্স

কিউবা-যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের বৈরিতার অবসান হতে যাচ্ছে? একবাক্যে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আস্তে আস্তে গলা শুরু করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্য আমেরিকার দেশ পানামায় আমেরিকাস সামিটে (আমেরিকা অঞ্চলের সম্মেলন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর করমর্দন সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর খবরে বলা হয়, আমেরিকা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করমর্দন দিয়ে সুসম্পর্কের আভাস দিয়েছেন বৃহত্তর আমেরিকার প্রভাবশালী দুই নেতা। একটি ছবিতে দেখা গেছে, কালো স্যুট পরা ওবামা ও রাউল কথাবার্তা বলছেন।

ওই দুজনের করমর্দনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তাও। তিনি বলেন, ‘এটা (করমর্দন) ছিল অনানুষ্ঠানিক কুশল বিনিময়। দুই নেতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

স্থানীয় সময় শনিবার দুই নেতা আবার আলোচনায় বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনসহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভ্রমণ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।

ঐতিহাসিক নীতিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্কের আভাস পাওয়া যায় গত বছরের ডিসেম্বরে। ওই সময় রাউল ও ওবামা পারস্পরিক সম্পর্ক নতুন করে সাজানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পানামায় চলমান সম্মেলনেও ঘুরেফিরে সে বিষয়টিই সামনে আসছে।

কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘আমরা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোলেও কিউবার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক বিষয়ে মতানৈক্য থাকবে। যেমনটা আমেরিকার অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে কিংবা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে থাকে।’ ওই সময় লাতিন আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নাক গলাবে না বলেও ইঙ্গিত দেন ওবামা।

১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কিউবা বিপ্লবের মাধ্যমে মার্কিনপন্থী ফুলহেন্সিও বাতিস্তার সরকারকে উৎখাত করা হয়। ফিদেল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারার নেতৃত্বে ওই বিপ্লবের পর থেকে কিউবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়ে। পাঁচ দশক পর আবার সে সম্পর্ক নতুন করে গড়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন ওবামা ও রাউল।