দক্ষিণ সুদানে সংঘাতের নিন্দা, আরো শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

Looks like you've blocked notifications!
স্বাধীনতা লাভের পাঁচ বছর পরই দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ সুদানের সাম্প্রতিক সংঘাতের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে জাতিসংঘের স্থাপনায় হামলায় উদ্বেগ জানানো হয়েছে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে আরো শান্তিরক্ষী পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত শুক্রবার পঞ্চম স্বাধীনতা দিবসে দক্ষিণ সুদারের রাজধানী জুবায় প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের অনুগতদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। পরে তা শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন নিহতের খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। পরে গতকাল রোববার মৃতের সংখ্যা ২৫২ বলা হয়। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বলছে নিহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হবে।

জাতিসংঘের মিশন জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় অন্তত কয়েকশ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাদের স্থাপনার কাছে গিয়েছিল।

ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের অনুগতরা দাবি করেছে, সরকারি বাহিনীই তাঁদের ওপর প্রথমে হামলা চালিয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র গতকাল শনিবার বিবিসিকে বলেন, দেশ আবার যুদ্ধে ফিরে গেছে।

গত শুক্রবার সংঘর্ষ শুরুর সময় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আলোচনায় বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচার। সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। এর পরও শনিবার ভারী অস্ত্রসহকারে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। আর গতকাল রোববার একটি সামরিক বাহিনীর ঘাঁটি দখল করে নেয় রিক মাচারের অনুগত বাহিনী।

বিশ্লেষকদের মতে, সুদানে শুক্রবারের সংঘর্ষে ২০১৫ সালের শান্তি চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে। দেশটিতে নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

২০ বছর আন্দোলনের পর ২০১১ সালের ৯ জুলাই স্বাধীনতা পায় দক্ষিণ সুদান। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। টানা ২০ মাস ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ঘরবাড়ি হারায় ২২ লাখ মানুষ। গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের চাপে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট সালভা কির। গৃহযুদ্ধের সময় দেশ ছেড়ে যাওয়া রিক মাচার চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে ফিরে আবার দক্ষিণ সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।