নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সুশীলা কারকি
নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন সুশীলা কারকি। গতকাল রোববার দেশটির পার্লামেন্টের একটি প্যানেল সর্বসম্মতভাবে তাঁর নিয়োগ অনুমোদন করেছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, কারকির নিয়োগের মাধ্যমে নেপালের শীর্ষ পর্যায়ে আরো একজন নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত হবে। এরই মধ্যে নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকার পদে আছেন দুজন নারী। শীর্ষ পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব পেতৃতান্ত্রিক নেপালে পরিবর্তিত অবস্থাই তুলে ধরে।
৬৪ বছর বয়সী সুশীলা কারকি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন কারকি। দুর্নীতিকে কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্যই সুপরিচিত তিনি।
অবশ্য চলতি বছরের ১০ এপ্রিল সুশীলা কারকিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ করে বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল। কিন্তু পার্লামেন্টে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়ক শুনানি কমিটি গড়তে দেরি হওয়ায় কারকির নিয়োগ পক্রিয়াও বিলম্বিত হয়।
নেপালের সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পার্লামেন্টের এক বিশেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন সুশীলা কারকি। শিগগিরই বিচারক নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। বর্তমানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে ১১ জন প্রার্থী পার্লামেন্টের শুনানির জন্য অপেক্ষা করছেন।
গত ১৪ এপ্রিল থেকেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারকের দায়িত্বে আছেন সুশীলা কারকি। ওই সময় অবসরে যান সাবেক প্রধান বিচারপতি কল্যাণ শ্রেষ্ঠ।