তুরস্কে প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা

তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানচেষ্টার পর দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। এর আগে এই বিশেষ বাহিনীর প্রায় ৩০০ সদস্যকে আটক করা হয়েছিল।
তুরস্কের হাবের টিভি চ্যানেলকে প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, প্রেসিডেনশিয়াল গার্ড আর থাকছে না, এর কোনো লক্ষ্য নেই, কোনো প্রয়োজনও নেই।
বিবিসি জানায়, তুরস্কের প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের আড়াই হাজার সদস্য। অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ২৮৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
তুরস্কে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরকার দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। কয়েক হাজার সেনাসদস্য, সরকারি কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষক চাকরিচ্যুত ও আটক হন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তুরস্কের ইসলামিক নেতা ফেতুল্লা গুলেনের এক ভাতিজাকে আটক করার কথা জানান তুরস্কে কর্মকর্তারা। গুলেনের এক সহায়তাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আন্দালু জানায়, ফেতুল্লা গুলেনের ভাতিজা মুহাম্মেদ সেইত গুলেনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আঙ্কারা নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ফেতুল্লা গুলেনের ডান হাত বলে পরিচিত হালিস হানসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভ্যুত্থানচেষ্টার দুদিন আগে তুরস্কে যান হানসি।
তুরস্কের অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য ফেতুল্লা গুলেনকে দায়ী করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে শুরু থেকে অভ্যুত্থানে কোনোভাবে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ফেতুল্লা গুলেন। একই সঙ্গে তিনি এই অভ্যুত্থানচেষ্টার নিন্দা জানান।
একসময় প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বড় মিত্র ছিলেন ফেতুল্লা গুলেন। এমনকি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের জন্য কাজ করেছেন ফেতুল্লা গুলেনের সমর্থকরা। পরে দুর্নীতির মামলা নিয়ে গুলেন ও এরদোয়ানের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়। একপর্যায়ে ফেতুল্লা গুলেন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এর আগে গত বুধবার তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর ফলে এখন থেকে পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে নতুন আইন করা যাবে। একইভাবে জনগণের অধিকার এবং স্বাধীন চলাফেরার ওপর হস্তক্ষেপ করা যাবে।