ভূমধ্যসাগরে ৪ হাজার শরণার্থী উদ্ধার, আছে বাংলাদেশিও
ভূমধ্যসাগর থেকে চার হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষীরা। শুক্রবার লিবিয়া উপকূল এবং ইতালির সিসিলি দ্বীপের পাশের সাগর থেকে এই বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উদ্ধার করা এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের নাগরিকও।
শুক্রবার সকালে লিবিয়া থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী তিন হাজার ৪০০ মানুষকে ইতালির কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে।
এ ছাড়া গভীর সমুদ্র থেকে শরণার্থীদের উদ্ধারে গঠিত ইউরোপিয়ান সংস্থা 'মেডিটরিয়ান এসওএস' শুক্রবার ২৩৬ জনকে উদ্ধার করেছে, যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি ও ইরিত্রিয়ান নাগরিক। এদিকে ইতালির কোস্টগার্ডের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার সিসিলির প্রণালি থেকে ছয় শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির নৌবাহিনী।
এদিকে ইউরোপে অভিবাসনের আশায় সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে গত সাত মাসে তিন হাজার ৩৪ শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ (আইওএম)। গতকাল সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ভূমধ্যসাগরেই মারা গেছে তিন হাজার ৩৪ জন। গত বছরের প্রথম সাত মাসে সংখ্যাটি ছিল এক হাজার ৯৭০ জন। গত বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে শরণার্থী মৃত্যুর পরিমাণ ৫৪ শতাংশ বেশি।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ক্লিনিকের পরিচালক নিয়লস ফ্রেজন রয়টার্সকে বলেন, ‘শরণার্থীদের অনিরাপদ যাত্রা পশ্চিমা দেশগুলোর অভিবাসন নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। হাঙ্গেরি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চলের দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের কারণে শরণার্থী ইস্যুতে ইইউ-তুরস্ক আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। এটা শরণার্থী নীতিকে প্রভাবিত করেছে।’ আর এ কারণেই শরণার্থী মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।