উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ (১৯৩৮-২০১৬)। ছবি : এএফপি

উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

স্থানীয় সময় শুক্রবার উজবেক সরকার প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘোষণা দেয়।

ইসলাম করিমভের মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার দিনভর নানা গুজব চলছিল। এই জল্পনার মধ্যেই সরকার তাঁর মৃত্যুর খবর জানায়। আজ শনিবার নিজ শহর সমরখন্দে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

কিছুদিন ধরেই ৭৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমই প্রথম ইসলাম করিমভের মৃত্যু খবর জানান এবং শোক প্রকাশ করেন। কিন্তু তখনো উজবেক সরকারের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর কোনো ঘোষণা দেয়নি।

২৫ বছরের বেশি সময় ধরে উজবেকিস্তান শাসন করেছেন ইসলাম করিমভ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসলাম করিমভের নিজের শহর সমরখন্দের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সেখানেই তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

মৃত্যুর খবর পেয়ে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নূর সুলতান নাজারবায়েভ চীনে সফর সংক্ষিপ্ত করে উজবেকিস্তানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে বেরিয়ে আসা উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাবেক কমিউনিস্ট নেতা ইসলাম আবদুগানিয়েভিচ করিমভ। ক্ষমতায় আসার পরই তিনি সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাগারে পাঠাতে শুরু করেন। তিনি অনেককে নির্বাসনেও পাঠান। কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে হাজার হাজার মুসলমানকে কারাবন্দি করেন করিমভ।

ইসলাম করিমভের দাবি ছিল, উজবেকিস্তান তাদের মতো করে গণতন্ত্রের চর্চা করছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ওই গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল না।

১৯৯৯ সালে ইসলাম করিমভকে হত্যাচেষ্টা হয়। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর শুরু হয় বিরোধীদের ওপর তীব্র নিপীড়ন।

২০০৫ সালে আনদিজানে সরকারবিরোধী এক গণবিক্ষোভ নির্মমভাবে দমন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, সেখানে শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে উজবেক সেনারা।

ইসলাম করিমভের অবর্তমানে কে উজবেকিস্তানের হাল ধরবেন সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এক সময় তাঁর বড় মেয়ে গুলনারাকেই সম্ভাব্য উত্তরসূরী বলে ভাবা হতো। কিন্তু নানা রকম ব্যবসায়িক কেলেঙ্কারি ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের কারণে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ।

গুলনারা বর্তমানে গৃহবন্দি। সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে এখন যে দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শাভকাত মিরজিয়ায়েভ ও উপপ্রধানমন্ত্রী রুস্তাম আজিমভ।