ধ্বংসস্তূপে প্রাণের স্পন্দন
ভূমিকম্পে প্রাণ গেছে প্রায় সাত হাজার মানুষের। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে পুরো দেশ হয়েছে ধ্বংসাবশেষের সমাধি। এরই মধ্যে নেপালে শোনা গেছে জীবনের জয়গান। এ আনন্দে খনিকের জন্য হলেও দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে বিষাদগ্রস্ত জাতির।
গতকাল শুক্রবার নেপালের একটি মাঠে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর স্থাপিত হাসপাতালে মেয়েশিশুর জন্ম দেন ১৯ বছর বয়সী লতা চন্দ। এখন পর্যন্ত সে শিশুটির নাম রাখা হয়নি। বর্তমানে মা-মেয়ে দুজনই সুস্থ।
গত ২৫ এপ্রিল নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্বামী হরিন্দর চন্দসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান গর্ভবতী লতা। যদিও ভূমিকম্পে তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। যে হাসপাতালে সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা, সেটিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে মাঠে স্থাপিত হাসপাতালে আশ্রয় নেন লতা ও তাঁর স্বামী। সেখানে একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেন তিনি।
লতার ধাত্রী দিগণিত গেরি বলেন, তিনি আশা করছেন, লতার সন্তান জন্মদান নেপালের অন্য নারীদের অন্য অনুপ্রেরণা। এর মাধ্যমে তাঁরা ভাবতে পারবেন, আশা এখনো জিইয়ে আছে।
লতার স্বামী হরিন্দর চন্দ মনে করেছিলেন ভূমিকম্পের কারণে তাঁর স্ত্রী সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। কিন্তু ফুটফুটে শিশু জন্মের পর তিনি এখন বেশ খুশি ।