দাতাদের প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা পায়নি নেপাল
ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও বিদেশি দাতাদের প্রতিশ্রুত কোনো অর্থ পায়নি নেপাল। দেশটির সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।
নেপালের অর্থমন্ত্রী রাম শরণ মাহাত জানান, তাঁরা হেলিকপ্টার আর ত্রাণ পেয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো অর্থ পাননি। এখন জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় সরঞ্জাম আর আহত ব্যক্তিদের জন্য অর্থোপেডিক চিকিৎসক দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে নেপালের একজন মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাঁদের প্রস্তুতি যথেষ্ট ছিল না।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর থেকে নেপালে এক হাজারের বেশি ইউরোপীয় নাগরিক নিখোঁজ আছে। তাদের অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা না থাকলেও, তারা নিরাপদ আছে বলেই কর্তৃপক্ষ আশা করছে।
ওই বিদেশিরা নেপালে পর্যটক হিসেবে এসেছিল যাদের বেশির ভাগই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি হিমালয় অঞ্চলে ট্রেকিং করছিল। এখন পর্যন্ত ১২ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার সঠিক চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
নেপালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত রেনসজে তারিঙ্ক বলেন, ‘এই এক হাজার ইউরোপীয় নাগরিকের ভাগ্যে কী ঘটেছে কর্তৃপক্ষ তা জানে না। তারা নিখোঁজ, কিন্তু তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা জানি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ইউরোপীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগকেই অক্ষত পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৫ এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যাটা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে নেপাল সরকারের আশঙ্কা। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ আশপাশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে শহর ও গ্রামগুলো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছে। উদ্ধারকাজে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিদেশি উদ্ধারকারী দল। কিন্তু ভূমিধস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্গম এলাকাগুলোতে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছেন না। ত্রাণ সাহায্য পাঠানোও সম্ভব হচ্ছে না।