ধ্বংস্তূপে আর ‘জীবিত কেউ নেই’
ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬২১। আজ শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ আর কোনো জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা নাকচ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কাঠমাণ্ডুর দুটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারী ও কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদ ঢাকাল আজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, উদ্ধার ও সাহায্য বিতরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে এখন আর কোনো জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই।
গত ২৫ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকার পুরনো ও নতুন অনেক স্থাপনা ধসে পড়ে। নেপাল ছাড়াও পাশের দেশ ভারত, চীন ও বাংলাদেশসহ তিব্বত অঞ্চলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার নেপালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। তবে এখনো অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি। সেখানকার মানুষের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো অজানা।
নেপালের সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়কারী হেমন্ত পাল বলেন, ভূমিকম্পে মৃত ও আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির ধাডিং, রাসুয়া ও সিন্ধুপালচকসহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলে এখনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি।
জানা গেছে, ভূমিধস ও খরাপ আবহাওয়ার কারণে দুর্গম স্থানে সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। আর সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে মাত্র ২০টি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে- যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য।
নেপালে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি রেনসজে তিরিংক বলেন, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত নেপালে থাকা এক হাজার ইউরোপীয় নাগরিকের অবস্থান ও পরিস্থিতি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নেপালের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য অপ্রস্তুত থাকার কথা স্বীকার করে বিশ্ববাসীর কাছে আরো মানবিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। নেপালের অর্থমন্ত্রী রাম শরন মহাত আজ বলেন, আরো কয়েক কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। তিনি নিশ্চিত করেন, সহায়তার জন্য পাঠানো একটি ডলারও নেপাল সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি।