হাইতিতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত

Looks like you've blocked notifications!
ক্যারিবীয় দেশ হাইতিতে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ছবি : এএফপি

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যাথিউ’র আঘাতে বিপর্যস্ত হয়েছে হাইতির জনজীবন। ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বর্ষণজনিত বন্যায় এরই মধ্যে সাতজন মারা গেছেন। 

ক্যারিবীয় অঞ্চলে গত এক দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হয়েছে হাজারো মানুষকে।

২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর এটাকেই হাইতির সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে বিবেচনা করছে জাতিসংঘ। হাইতির দক্ষিণাঞ্চলে প্রধান একটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় ও অনেক জায়গায় টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব এখনো জানা যাচ্ছে না। 

হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকে এখন পর্যন্ত সাতজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি হাইতিতে আঘাত হানে ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে। গত ৫২ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম হাইতিতে আঘাত হেনেছে এত শক্তিশালী কোনো ঘূর্ণিঝড়। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে হাইতির লেস কায়েসসহ বেশ কয়েকটি উপকূলীয় শহর।

হাইতির পর ঘূর্ণিঝড়টি এখন এগিয়ে যাচ্ছে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। সম্ভাব্য আঘাতের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহরগুলো। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে জর্জিয়ার ১৩টি কাউন্টিতে। সাউথ ক্যারোলাইনার ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ দূরত্বে।

২০১০ সালের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনো পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি হাইতি। দুই লাখ মানুষ মারা যাওয়ার পর দেশটিতে দেখা দিয়েছিল কলেরার প্রকোপ। এরই মধ্যে আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সামলাতে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র এই দেশটিকে। 

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হাইতির অনেক স্থানে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও পানিবাহিত নানা রোগ ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।