ইয়েমেনে জানাজায় সৌদি বিমান হামলা, নিহত ১৪০

Looks like you've blocked notifications!
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলার পর ঘটনাস্থলে মৃতদেহের খোঁজ করছে ইয়েমেনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি : রয়টার্স

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের এক নেতার বাবার জানাজা চলাকালে সৌদি বিমান হামলায় অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার দেশটির রাজধানী সানার একটি কমিউনিটি হলে জানাজার সময় ওই বিমান হামলা হয়। হামলায় আরো অন্তত ৫২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিবিসি জানায়, নিহতরা শনিবার বিকেলে সানার দক্ষিণে একটি উন্মুক্ত স্থানে হুতি বিদ্রোহীদের মনোনীত দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জালাল আল রোশানের বাবার জানাজা পড়ছিলেন। হতাহতদের মধ্যে হুতি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোল্ডরিক এক বিবৃতিতে জানান, শোকার্তদের মধ্যে নির্মম এ হামলার ঘটনায় ত্রাণকর্মীরা ‘মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ’। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে তিনি ওই বিবৃতিতে নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১৪০ ও ৫২৫ বলে জানান। তবে বেসরকারি সূত্রের বরাতে এই সংখ্যা আরো বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জেমি ম্যাকগোল্ডরিক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের আহ্বান জানান। এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

এদিকে, এ হামলার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট এএফপির কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, এটা অবস্থানগত কোনো অভিযান ছিল না। এবং এ ঘটনার ‘অন্য কারণও’ বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।  

ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে হুতি বিদ্রোহীদের হাতে থাকলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আব্দরাব্বু মানসুর হাদি সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের। আর ওই সরকারকে সহযোগিতা করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।

আরব বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা ও সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোট এ অভিযান শুরু করলেও এখনো দেশটির রাজধানী সানাসহ অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।