রাজা ভূমিবলের মৃত্যুতে থাইল্যান্ডে শোক

Looks like you've blocked notifications!
রাজা ভূমিবলের মৃত্যুতে কালো পোশাক পরে সড়কে অবস্থান নেন থাইল্যান্ডের জনগণ। ছবি : রয়টার্স

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে (৮৮) গতকাল বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। জনপ্রিয় এ রাজার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

গতকাল থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের এক ঘোষণায় বলা হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫২ মিনিটে রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে ভূমিবল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কয়েক দিন ধরেই তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। 

গতকাল গভীর রাতে ব্যাংককে রাজার জন্য প্রার্থনা চলে। বিপুলসংখ্যক থাই এতে অংশ নেন। কালো পোশাক পরিহিত ওই জনগণ পরে সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় অনেকের হাতে ছিল ভূমিবলের ছবি।  
১৯৪৬ সাল থেকে থাই জনগণ রাজা ভূমিবলকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক  হিসেবে সম্মান করেছে।

রাজপরিবারের ঘোষণায় বলা হয়, ৬৪ বছর বয়স্ক যুবরাজ মাহাওয়াজিরালংকর্ন থাইল্যান্ডের পরবর্তী রাজা হবেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার মৃত্যু উপলক্ষে এক বছরের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

আজ শুক্রবার রাজার মরদেহ শহরের এমারল্যান্ড মন্দিরে নেওয়া হবে। থাই সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে কালো পোশাক পরতে বলা হয়েছে। শোকের সময় কোনো উৎসব আয়োজন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।  

রাজার শোকে থাইল্যান্ডের অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট সাদা-কালো করা হয়েছে।

রাজা ভূমিবলের জন্ম ১৯২৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে। তাঁর বাবা প্রিন্স মাহিদোল সে সময় হার্ভার্ডে লেখাপড়া করতেন। দুই বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি মায়ের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড চলে যান। সেখানেই তাঁর পড়াশোনা। ১৯৪৬ সালে বড় ভাই রাজা আনন্দ রাজপ্রাসাদে এক গোলাগুলিতে মারা যাওয়ার পর মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভূমিবল সিংহাসনে বসেন। তারপর ৭০ বছর ধরে তিনি রাজসিংহাসনে ছিলেন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজার মৃত্যুতে থাইল্যান্ডে নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।