১০ বছর ভিসা দেওয়ার পর জানা গেল মার্কিন দূতাবাসটি ভুয়া

Looks like you've blocked notifications!
ঘানার রাজধানী আক্রায় অবস্থিত এ ভবনেই ভুয়া মার্কিন দূতাবাস পরিচালিত হতো। ছবি : ঘানা সরকারের ওয়েবসাইট থেকে

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় ১০ বছর ধরে চলছিল ভুয়া মার্কিন দূতাবাস। দেশটির রাজধানী আক্রায় অবস্থিত এই ভুয়া দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে এটি বন্ধ করেছে ঘানা সরকার।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ অপরাধীরা এই ভুয়া দূতাবাস চালাত। চলতি বছরের গ্রীষ্মে ভুয়া দূতাবাসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গোলাপি রঙের দোতলা একটি বাড়িতেই চলত ভুয়া এই দূতাবাসের কার্যক্রম। ভবনটির সমানে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ওড়ানো হতো। ভবনটির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ছবিও টাঙানো ছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভুয়া দূতাবাস পরিচালনাকারীদের মধ্যে আছে ঘানা ও তুরস্কের সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তি। এই চক্রের সঙ্গে আরো যুক্ত ছিলেন ঘানার এক আইনজীবী, যিনি অভিবাসন ও অপরাধ আইন বিষয়ে মামলা পরিচালনা করতেন।

সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে এবং ব্যাংকের বিভিন্ন নথি কারসাজি করে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার ব্যবস্থা করত। এখানে আসল ভিসা দেওয়া হলেও এটি সংগ্রহে দেওয়া তথ্যগুলো ছিল ভুয়া। প্রতিটি ভিসার জন্য ছয় হাজার মার্কিন ডলার নেওয়া হতো।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে ঘানায় অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের একটি ভুয়া দূতাবাসের কথাও বলা হয়। তবে গত শনিবার পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

এদিকে ভুয়া দূতাবাসে পুলিশের চালানো অভিযানে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শেনজেন জোনের ভিসা পাওয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ১৫০টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন।

ঘানায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত দূতাবাসটি সেনানিবাসের মধ্যে অবস্থিত। এটি দেশটির রাজধানীর অন্যতম সুরক্ষিত ও ব্যয়বহুল স্থান। দূতাবাসের নিরাপত্তাও বেশ কঠোর। প্রতিদিন দূতাবাসে মার্কিন ভিসা আবেদনসহ বিভিন্ন কাজে আসা ব্যক্তিদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।