যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি
রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরেই যুদ্ধবিমান ইঞ্জিন নির্মাণ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন মোদি। এর আগে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দুবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে কথা বলেননি। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা ছাড়া আর কেউ এই সম্মান পাননি।
তবে মোদির সফরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হতে চলেছে জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) ও হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস লিমিটেডের (হ্যাল) মধ্যে যুদ্ধবিমান ইঞ্জিন নির্মাণ চুক্তি। এই চুক্তি হলে ভারতে জিই-এফ৪১৪ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করবে জিই। তাদের সহযোগী হবে হ্যাল। জিই এই ইঞ্জিনের প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। এই ইঞ্জিন মার্কিন নৌবাহিনীর এফ/এ১৮ হরনেট বিমানে ব্যবহার করা হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর এই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন-প্রযুক্তি আগে কোনো দেশকে দেওয়া হয়নি। এই চুক্তিকে তাই খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ। এছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত চুক্তি হওয়ার কথা আছে।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেন এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলকে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং হোয়াইট হাউসে ডিনারের ব্যবস্থা করেছিলেন। এবার তৃতীয় রাষ্ট্র নেতা হিসেবে মোদি সেই সুযোগ পেলেন। এই নিয়ে ছয়বার যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন নরেন্দ্র মোদি।
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ, হোয়াইট হাউসে ডিনার ছাড়াও মোদি বুধবার (২১ জুন) জাতিসংঘে বিশ্ব যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন মোদি, শুক্রবার তিনি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন। তাঁর জন্য প্রবাসী ভারতীয়রা টাইম স্কয়ার, গোল্ডেন গেট ব্রিজে সমবেত হবেন।
মোদি বলেছেন, ‘আমার মার্কিন সফর নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা, বিভিন্ন স্তরের মানুষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন, তাদের মতামত জানাচ্ছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা যে কথা বলছেন, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কতটা মজবুত।’
ওয়াশিংটন থেকে মোদি কায়রো যাবেন তার প্রথম মিসর সফরে। সেখানে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত বছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ প্রধান অতিথি ছিলেন।