অশান্ত মণিপুরে দুদিনের সফরে যাচ্ছেন রাহুল

ভারতের মণিপুর রাজ্যে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। মণিপুরে এই সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০।
গত ৩ মে মণিপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে কুকি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মেইতেইদের। ঘর ছেড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে মণিপুরে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের অভিযোগ, মণিপুর যখন জ্বলছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তিনি মণিপুরে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ও পরের দিন শুক্রবার মণিপুর সফরে যাবেন রাহুল গান্ধী। তবে তার সফরসূচির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সফর করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছেন সব পক্ষের কাছে। এরপরেও অশান্তি থামেনি, বরং অমিত শাহের সফরের পর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ বেড়েছে। সেনাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মানুষ। সেনার হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিয়েছেন তারা।
সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল অভিযোগ করেন, ‘দেড় মাস ধরে মণিপুরে সহিংসতা চলছে। অথচ এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’
বেণুগোপাল জানান, রাহুল ঘরছাড়া মানুষের শিবিরগুলো পরিদর্শন করবেন। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
মণিপুরে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। বহু মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আক্রান্তদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি হিসাবে সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১৪০ জনের। বেসরকারি সূত্রের দাবি, নিহতের সংখ্যা দেড়শর কাছাকাছি।
মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠীর। দীর্ঘদিন ধরে তারা জনজাতির মর্যাদা চাইছে। সংখ্যালঘু কুকি জনজাতির মানুষ এর বিরোধিতা করছে। এই নিয়েই গত ৩ মে মণিপুরে তীব্র সংঘর্ষ হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সেই সংঘর্ষের জের এখনও চলছে। সেনার হাতেও বেশ কিছু সশস্ত্র আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে।