ড. ইউনূস প্রসঙ্গে যা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র

Looks like you've blocked notifications!
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ছবি : ইউটিউব ভেরিফায়েড চ্যানেল ইউনাইটেড নেশনস থেকে নেওয়া

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) নিয়মিত ব্রিফিংয়ের পর প্রশ্নের উত্তরে এই প্রত্যাশার কথা জানান। এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমানের বক্তব্য মুছে ফেলা ও এক প্রবাসী ছাত্রের মাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে প্রশ্নের  বিষয়গুলো অবগত নন বলে জানান। 

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকর্তা অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিশ্বনেতা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেছেন—নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্প্রতি বিচারিক হয়রানির লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এমন একটি কঠিন মুহূর্তে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদক্ষেপ কী?

উত্তরে  ডুজারিক বলেন, ‘যেমনটা আগেই বলেছি, বাংলাদেশে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই, যেমনটা অন্যরাও চায়। ড. ইউনূসের বিষয়টি আমি জানি না। সেটি দেখব।’

বাংলাদেশ সরকার দেশের বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্য প্রচারে বাধা দিতে দেশের আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের আদালত প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা তারেক রহমানের সব ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন পিএইচডি ছাত্র সরকারের সমালোচনা করায় বাংলাদেশে তার মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সময় তাকে থামিয়ে দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রশ্নটি শুনতে চান। পরে প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো—একজন পিএইচডি শিক্ষার্থী দেশের বাইরে থেকে সরকারের সমালোচনা করল, আর বাংলাদেশে তার মা গ্রেপ্তার হলো। কীভাবে একটি সদস্য দেশ এভাবে করতে পারে?’

জবাবে ডুজারিক বলেন,  ‘আমি বিষয়টি সম্বন্ধে জানি না। আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’