বাংলাদেশের জলবায়ু প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র : নাথান ফ্লুক

Looks like you've blocked notifications!
বাসসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি

মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নাথান ফ্লুক বলেছেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে বাংলাদেশকে সমর্থনদান অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।

একটি সংলাপে নাথান ফ্লুক বলেন, জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা পরিবর্তিত পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে সাড়া দিতে সক্ষম নতুন জাতের উদ্ভিদ উদ্ভাবনের হারকে ত্বরান্বিত করতে পারেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার ‘নেক্সাস অব ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ইনোভেটিভ বায়োটেকনোলজি’ বিষয়ক সংলাপে যোগ দেন বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

তিনটি কারিগরি সেশন জুড়ে বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, নিয়ন্ত্রক এবং নীতিনির্ধারকরা জৈবপ্রযুক্তি সম্পর্কিত নতুন নীতি এবং গবেষণা শেয়ার করেছেন।

উদ্বোধনী  অধিবেশন চলাকালীন, ওয়াহিদা আক্তার এবং নাথান ফ্লুক কৃষি খাতে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে নির্ভুল জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, খরা এবং নতুন কীটপতঙ্গ কৃষকদের জন্য লাভজনকভাবে খাদ্য উৎপাদন করা কঠিন করে তুলেছে বলে তারা মনে করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক কৃষিতে স্থিতিস্থাপকতা আনতে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে একটি নিরাপদ হাতিয়ার হিসেবে কৃষি জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসন জৈবপ্রযুক্তি উদ্ভাবনকে সুরক্ষা এবং সমর্থনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মার্কিন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ঝুঁকি-ভিত্তিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে, যাতে কৃষকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন সরঞ্জামগুলোতে সম্পৃক্ত হতে সক্ষম করে। জলবায়ু এবং গ্লোবাল মিথেন অঙ্গীকারের জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশনের সদস্য হিসাবে, কৃষকদের জীবিকাকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম করে তোলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের একটি অভিন্ন মিশন রয়েছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর উপর কৃষি উৎপাদনের প্রভাব কমাতে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স  ফ্লুক  বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।