ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন আজ

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। এএফপির ফাইল ছবি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। তিনি তার সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্যে সহায়তা তহবিল বিল আটকে যাওয়ার প্রেক্ষিতে তার এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

নতুন করে অভিবাসন নীতিতে সংস্কার না আনার প্রতিবাদে রিপাবলিকান সিনেটররা ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য ১০৬ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল আটকে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন মেক্সিকো থেকে প্রায় ১০ হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে মার্কিন সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। এই বিলে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা শীতকালে রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি কংগ্রেস এই বিলটি পাস করতে ব্যর্থ হয়, তা হবে পুতিনের জন্য একটি উপহার। হোয়াইট হাউস তার সফরের ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কূটনৈতিক তোড়জোড় শুরু হয়। প্রতিনিধি পরিষদের নতুন স্পিকার মাইক জনসনের সহযোগী বলেছেন, জেলেনস্কি স্পিকারের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।  

এ ছাড়া একজন সিনেট কর্মকর্তা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার এবং রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলও মঙ্গলবার সকালে জেলেনস্কিকে বৈঠকের বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাইডেন ও জেলেনস্কি যুদ্ধের জরুরি প্রয়োজন নিয়ে কথা বলবেন। 

ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের দ্বন্দ্বে ইউক্রেনের জন্য অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিতে পারছে না মার্কিন কংগ্রেস। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। তবে, গত জানুয়ারি মাসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের হটিয়ে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকে কিয়েভের জন্য আর কোনো তহবিল অনুমোদন দেয়নি কংগ্রেস।

৫ ডিসেম্বর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, মার্কিন সহায়তা স্থগিতের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সহায়তা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার নিয়ে কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই এমন মন্তব্য করলেন তিনি।