যুদ্ধক্ষেত্রে চাপের মুখে রাশিয়া

Looks like you've blocked notifications!
নিজস্ব ভূখণ্ডে আকাশপথে রাশিয়ার লাগাতার হামলার জবাবে ইউক্রেনও পালটা হামলা চালাচ্ছে৷ ছবি : এএফপি

রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বিমান ধ্বংসের ফলে রাশিয়া কিছুটা চাপের মুখে পড়ছে৷ অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় শান্তি সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা করেছেন৷

নিজস্ব ভূখণ্ডে আকাশপথে রাশিয়ার লাগাতার হামলার জবাব হিসেবে ইউক্রেনও পালটা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে ইউক্রেন সাধারণত এমন বিচ্ছিন্ন ড্রোন হামলার দায় স্বীকার না করায় এবং রাশিয়া বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায়, প্রায়ই প্রকৃত চিত্র পুরোপুরি স্পষ্ট হচ্ছে না৷

এবার রাশিয়ার দক্ষিণে ভোরোনেঝ শহরে ড্রোন হামলার ফলে শহরের মেয়র জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন৷ সেই হামলায় কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি শিশু আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ আগুনের কারণে একটি আবাসন ভবন থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে৷ সোমবার রাতে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ভোরোনেঝ অঞ্চলে পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস এবং তিনটি থামানো সম্ভব হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে৷ সেইসঙ্গে বেলগোরোদ অঞ্চলেও চারটি ড্রোন হামলা বানচাল করা হয়েছে৷

রুশ সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ভোরোনেঝ শহরের কাছে রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে৷ ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে সেখান থেকে সুখোই এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়৷ সোমবার রাতে সেই এলাকায় কমপক্ষে ১৫টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে কিছু রুশ সূত্র টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করছে৷

গত কয়েক দিনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বেশ ক্ষয়ক্ষতির মুখ দেখেছে৷ আজোভ সাগরের ওপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ড বিমান ধ্বংস হওয়ার ঘটনা নিয়ে অবশ্য বিভ্রান্তি এখনো কাটছে না৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৩০ কোটি ডলার মূল্যের রাডারযুক্ত এ-৫০ বিমান এবং আইআই-২২ কমান্ড বিমান হারানো রুশ বিমানবাহিনীর জন্য মারাত্মক ঘটনা৷ ইউক্রেন সেই সাফল্য দাবি করলেও প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷

ব়্যান্ড করপোরেশনের বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম কার্টনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাশিয়ার হাতে সম্ভবত ৬টি এ-৫০ বিমান ছিল৷ বিশেষ করে ইউক্রেন মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করলে সেই বিমানের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে রাশিয়াকে এ-৫০-র ওপর নির্ভর করতে হবে৷ আইআই-২২ কমান্ড বিমানও সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ কার্টনি ইউক্রেনীয় বাহিনীর ক্ষমতার প্রশংসা করেন৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর সুইজারল্যান্ড সফরে সুইস সরকারের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার আলোচনা করেছেন৷ দুই দেশ যৌথভাবে ইউক্রেন শান্তি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে সম্মেলনের দিনক্ষণ এখনো স্থির হয়নি৷ জেলেনস্কি সেখানে রাশিয়ার উপস্থিতির কোনো কারণ দেখছেন না৷ মঙ্গলবার তিনি ডাভোসে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে প্রথমবার সশরীরে ‘কিনোট’ ভাষণ দিচ্ছেন৷ গত কয়েক বছরে তিনি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন৷ পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আরও সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা আদায় করতে তিনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জগতের শীর্ষ নেতাদের কাছে আবেদন করবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷