মার্কিন সীমান্তে বাড়ছে চীনা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা

Looks like you've blocked notifications!
মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে চীনা নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ছবি : ডয়চে ভেলে

অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়তে থাকায় চীনের অনেক মানুষ এখন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আগ্রহী হচ্ছেন৷ টিকটকের সহায়তায় তারা ল্যাটিন আমেরিকা হয়ে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছাচ্ছেন৷

সম্প্রতি এই সীমান্তে পৌঁছানো প্রায় ৫০ জনের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক ২৪ বছর বয়সি গুও৷ তিনি চীনের শেনজেন থেকে ইকুয়েডর হয়ে মার্কিন সীমান্তে পৌঁছেছেন৷ চীনের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই ইকুয়েডরে যাওয়া যায় বলে তিনি প্রথম ইকুয়েডর যান৷ সেখান থেকে ল্যাটিন ও মধ্য আমেরিকার অন্যান্য দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন, সেটিই ব্যবহার করেছেন তিনি৷

মার্কিন ‘কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন’ বা সিবিপি বলছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার চীনা নাগরিককে সীমান্তে নিবন্ধন করা হয়েছে৷ ২০২১ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৫৫৷

পরিসংখ্যান বলছে, চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার হার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি৷ মার্কিন বিচার বিভাগের হিসাব বলছে, ৫০ শতাংশের বেশি চীনা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে৷ মেক্সিকোর ক্ষেত্রে সংখ্যাটি মাত্র চার শতাংশ৷

টিকটিক যখন শিক্ষক

গুও জানান, কোন রুটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো যাবে, কোন সময় কী করতে হবে, কী ধরনের পরিবহণ ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনকি কোন সীমান্তে কাকে কত টাকা ঘুস দিতে হবে- সব তথ্য টিকটকে পাওয়া যায়৷

যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের চীনা বিশেষজ্ঞ ইয়ান জনসন বলছেন, চীনের মানুষ তথ্য পেতে সামাজিক মাধ্যমের উপর বেশি নির্ভর করেন৷

চীন ছাড়তে চাওয়ার কারণ

গুও বলেন, চীনে অনেক সমস্যা আছে৷ তরুণেরা শহরে বাসা কিনতে পারে না৷ চীনের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা, কমিউনিস্ট পার্টি ও টোটালিটারিয়ানিজম আমি পছন্দ করি না৷

ইয়ান জনসন নামে আরেক যুবক বলছেন, ‘‘অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে, বেকারত্ব অনেক বাড়ছে, আগামীতে ডিফ্লেশনের পূর্বাভাস আছে, অনেক কোম্পানি খেলাপি হয়ে যেতে পারে৷ অর্থনীতির দুরবস্থার কারণে শুধু গরীব মানুষের সমস্যা হচ্ছে না, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়ছেন৷ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়ছে। এসব কারণে অনেকে চীন ছাড়তে চাইছেন৷”