গাজার পরিস্থিতি নারকীয়, দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে : জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মঙ্গলবার ইসরায়েলের তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি : এএফপি

গাজা উপত্যকায় আরও বেশি মানবিক সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন এবং এজন্য দ্রুত সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘নারকীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) তিনি ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত অঞ্চল কেরেম শালোম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং সেখানে আরও অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে।’

বেয়ারবক বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেওয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।’

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোথায় সমস্যা এখনও জট পাকিয়ে আছে, তা নিয়ে আলোচনা করার সময় আর নেই। রাফা সীমান্ত দিয়ে যে ট্রাকগুলো গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে ঢোকে, সেগুলোতে তিনবার তল্লাশি চালানো হয়। সমস্ত জিনিস নামিয়ে দেখা হয়। যেভাবেই হোক এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে। এর ফলে গাজায় যত দ্রুত মানবিক সাহায্য পৌঁছানো দরকার, তা পৌঁছাচ্ছে না।’

আনালেনা বেয়ারবক বলেন, মিসর ও ইসরায়েল উভয়পক্ষই তাকে ট্রাক কীভাবে গাজায় ঢোকে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। বস্তুত, তিনিই প্রথম বিদেশি মন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিল। তাকে দেখানো হয়েছে কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া হতো। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০টি ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরায়েল সীমান্তে দুটি স্ক্যানারে এই ট্রাকগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, নিওত্যপণ্যের সঙ্গে বন্দুক, গুলি বা এ জাতীয় কোনো অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে কি না।

বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছেন, আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে দ্বি-রাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।