অমর একুশে বইমেলা এখনও জমে ওঠেনি। প্রকাশকরা আশা করছেন শুক্রবার থেকে জমে উঠবে মেলা। আজ বুধবার বইমেলার দ্বিতীয় দিনে বইপ্রেমীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় এমন কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বড় বড় প্রকাশনী সংস্থাগুলোতে পাঠকদের মোটামুটি আনাগোনা থাকলেও নতুন প্রকাশনাগুলোতে বইপ্রেমীদের তেমন ভিড় নেই।

পাঠকদের উপস্থিতি নিয়ে মাওলা ব্রাদার্সের ইনচার্জ শাহীন বলেন, যেহেতু এবার বইমেলা কয়েকদিন পর শুরু হয়েছে, তাই গতবারের তুলনায় ভালো মনে হচ্ছে। তবে আশা করছি শুক্রবার থেকে মেলা জমে উঠবে। আশা করছি ভালো বেচাকেনা হবে।

বইমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, সবাই এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তবে আশা করছি এবার ভালোই হবে।

এদিকে বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির প্রচারণা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন প্রকাশকরা।

হতাশা প্রকাশ করে শিখা প্রকাশনীর প্রকাশক নাফিজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রথমদিন পাঠকদের উপস্থিতি মোটামুটি থাকলেও আজ তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। আশা করছি শুক্রবার থেকে পাঠকদের উপস্থিতি বাড়বে। আর আমার মনে হয় বাংলা একাডেমির প্রচার, প্রচারণায় ঘাটতি রয়েছে। তাঁদের উচিত প্রচারণা আরও বাড়ানো।

এদিকে অমর একুশে বইমেলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টলের উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। একাডেমি প্রাঙ্গণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টলের (স্টল নং: ৬৭৩) উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টলের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। ছবি : এনটিভি

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্টলের সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক চঞ্চল কুমার বোসসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।

গত চার বছর যাবত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলে নিজস্ব প্রকাশনায় প্রকাশিত বই, জার্নালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বই স্থান পেয়ে থাকে।