জীবনীভিত্তিক উপন্যাস লেখার কথা বললেন লেখকরা
বই বিপনন কেন্দ্র বাতিঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জীবনীভিত্তিক উপন্যাস রচনার অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান। গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ঢাকার বাতিঘর শাখায় অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, শাহাদুজ্জামান, বিনোদ ঘোষাল ও সুহান রিজওয়ান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর উপন্যাস ‘নার্গিস’, শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’ ও ‘একজন কমলালেবু’, বিনোদ ঘোষালের ‘কে বাজায় বাঁশি’ ও সুহান রিজওয়ানের ‘স্বাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ’ উপন্যাস রচনার অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়। পাশাপাশি দর্শক-পাঠকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন চার লেখক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুমন রহমান।
চারজন লেখকের পাঁচটি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কেন কীভাবে লক্ষ্য হলো, সেসব অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অনেক পরম্পরা ঘটনা উঠে আসে আলোচনায়। ‘নার্গিস’ উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমিকা নার্গিস, ‘ক্রাচের কর্নেল’ উপন্যাসে কর্নেল আবু তাহের, ‘একজন কমলালেবু’ উপন্যাসে কবি জীবনানন্দ দাশ, ‘কে বাজায় বাঁশি’ উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলাম ও ‘স্বাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ’ উপন্যাসে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ছিলেন বিষয় হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জীবনী কখন কীভাবে ফিকশন হয়ে ওঠে- এই বিষয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সুন্দর একটি উদাহরণে। মীর মশাররফ হোসেন ‘বিষাদ সিন্ধু’ লিখেছেন যার শতকরা ৭০ ভাগ কথা বানোয়াট। কিন্তু উপন্যাসটি মানুষের হৃদয় জয় করেছিল। তবে ‘বিষাদ সিন্ধু’র প্রতিবাদ করে কায়কোবাদ লিখেছিলেন ‘মহররম শরীফ’ কাব্যকাহিনী, যার শতভাগ তথ্য সত্য হলেও মানুষ তেমন একটা পড়েনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লেখক ও অধ্যাপক সুমন রহমান। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মৌটুসী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।