জয়নুলের সাকার
লোকে বলে, নামে আসে নামে যায়। কিন্তু শিল্পী জয়নুল আবেদিন নামে না যদ্দুর যান, তারচে বাংলাদেশে শিল্পকর্ম কম দেখার সুযোগ বিদ্যমান। শিল্পী হিসেবে তাঁর শিল্পকর্মকে যথাযথ উপস্থাপনের একটা ঘাটতি ছিল। একজন শিল্পীর চিন্তার জগত বুঝতে তার শিল্পকর্ম আর যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণের বিকল্প নাই। লোকে জয়নুল আবেদিনকে ‘শিল্পাচার্য’ হিসেবে চেনেন। কিন্তু কেন তিনি শিল্পাচার্য? কি তাঁর শিল্পকর্ম? কোন কর্মের জন্য সমাজ-রাষ্ট্রে তিনি ‘আচার্য’ বা ‘গুরু’ হিসেবে বিরাজ করেন? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আমাদের রোসা মারিয়া ফালভো সম্পাদিত ‘গ্রেট মাস্টার্স অব বাংলাদেশ জয়নুল আবেদিন’ সংকলনটির কাছে যেতে হবে। কারণ শিল্পী জয়নুলকে চিনতে বা বুঝতে পারার সেই ঘাটতি পূরণের উপাদান সংকলনটিতে রয়েছে। সংকলনটি নিয়ে যেমন প্রশ্ন তোলা যায়, তেমনি নির্বিবাদে গ্রহণ করার উপাদানও আছে। কিন্তু কিভাবে?
বাংলাদেশের শিল্পকলার ইতিহাস, আর শিল্পী জয়নুল আবেদিন একসূত্রে গাঁথা। সূত্র জিনিস দর্শনের ‘চিন্তা’ অর্থে নেওয়া। চিন্তা দুই অর্থে, এক অর্থে তাত্ত্বিক, অন্য অর্থে ব্যবহারিক। জয়নুল দুইভাবে বাংলাদেশের শিল্পকলার ইতিহাস হয়ে আছেন। তাত্ত্বিক অর্থে জয়নুল নিজেই শিল্পী। শিল্পী শিল্পকর্ম একাই করেন। কিন্তু এই একাকে অপর করে তোলার মধ্যেই শিল্প সমাজের সাথে সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক জ্ঞানগত উৎপাদন কাঠামোর মামলা। একটা পশ্চাদপদ সমাজের শিল্পমানসকে জয়নুল টেনে বের করে এনেছেন সমাজপটে। এখানে পশ্চাদপদ বলার পেছনে কারণ, পূর্ববঙ্গের বাঙালি তথা বাঙালি মুসলমানের জ্ঞানগত অনগ্রসরতাকে বোঝাচ্ছি। অপর অর্থে আমরা বলছি, শিল্পের ব্যবহারিক জ্ঞানের কথা। ব্যবহারিক জ্ঞান কাঠামোর কেন্দ্র হলো প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান একা একা চলে না। প্রয়োজন সাংগঠনিক ভিত। সেই অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প শিক্ষা আন্দোলনের নায়ক জয়নুলই। এই দুই ভাব থেকে আলাদা করে দেখলে জয়নুলকে খণ্ডিত আকারে দেখা হবে। মানে তিনি একাধারে শিল্পী ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তিনি শিল্পের নজির আকারে স্রষ্টা।
জয়নুল শৈল্পিক তৎপরতা দুইভাবে বিচার করা সম্ভব। প্রথমত শিল্পী হিসেবে, দ্বিতীয়ত প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠক হিসেবে। একটি অন্যটি হতে আলাদা নয়। এই আলাদা না হওয়ার পেছনে তার শিল্পীসত্তা কাজ করেছে। ফলে দুইভাবেই শিল্পীর আসনে তিনি টিকে আছেন। তার শিল্পসত্তার দেখবার ভেতরে জয়নুলকে আবিষ্কার করা যাবে। আবিষ্কারের পথটি করেছেন স্কিরা ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ প্রকাশনা ‘গ্রেট মাস্টার্স অব বাংলাদেশ জয়নুল আবেদিন’ বইটি।
লোকসাধারণে জয়নুল অপরিচিত নন, বরং শিল্পী হিসেবে তিনি সংস্কৃতির জগতের ‘সিম্বল’বা ‘সাকার’ হয়ে আছেন নানাভাবে। এখানে বাংলাদেশের চারুশিল্পের জাতীয় ভাবধারা প্রোথিত আছে। বাংলা শব্দশাস্ত্র মতে, জাতি অর্থ জন্ম।
জাতি যেই অর্থে জন্মের প্রতীক, সেই অর্থে শিল্পকলার প্রাতিষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ তাঁকে ‘সিম্বল’ বা ‘সাকার’ করে তুলেছে। দর্শনশাস্ত্র বলছে, সাকার মানে স-য়ের আকার। আপন আকার। যা অপর নহে। পরে ভাবকে আপন করে নেয়। কারণ তার হাত ধরেই সংস্কৃতির পাঠশালার পাটাতন ‘ঢাকা চারুকলা’ বিদ্যাপিঠ। সৃষ্টির সঙ্গে সাংগঠনিক তৎপরতাকে আমরা বলছি সাংস্কৃতিক সম্পর্ক। যেটা প্রাতিষ্ঠানিক শিল্প উৎপাদনকাঠামোর মধ্যেই বিরাজিত।
রোসা মারিয়া ফালভোর সম্পাদনায় জয়নুলকে নিয়ে বইটির দুটো দিক আছে। এক শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা, অপর শিল্পকর্মের ছবি। রোসা তার সম্পাদকীয়তে জয়নুলের চিন্তার দর্শনগত জায়গা তুলে ধরেছেন। জয়নুলের শিল্পকর্মে বাংলার ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি কিভাবে এসেছে রোসার বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট। এতে শিল্পকর্ম নিয়ে আলোচনা করেছেন আবুল মনসুর, নজরুল ইসলাম ও আবুল হাসনাত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিল্পীর স্ত্রী মিসেস জাহানারা আবেদিনের সাক্ষাৎকার। আবুল মনসুরের আলোচনায় উঠে এসেছে শিল্পীর আদ্যোপান্ত। জয়নুলের জন্ম থেকে পরিণত বিকাশের নানা সঙ্গ-প্রসঙ্গ। জাতীয়তাবাদ থেকে রাজনৈতিক আর সামাজিক প্রেক্ষাপটে জয়নুল নিজেকে কিভাবে শিল্পের জগতে প্রতিষ্ঠা করেছেন আর অন্যের শিল্পের প্রেক্ষাপট কিভাবে তৈরি করেছেন তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাজির করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যায় দুটো জিনিস উঠে এসেছে। এই শিল্পী শিল্পের উপাদানের ক্ষেত্রে বাস্তববাদী আর ফর্মের দিক হতে আধুনিক।
নজরুল ইসলাম আলোচনায় দেখিয়েছেন পূর্ববঙ্গ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পকলার প্রেক্ষাপট। ৪৭ সালের দেশ ভাগ, পাকিস্তান সৃষ্টির ফলে উদ্ভুত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জয়নুল কিভাবে শিল্পের দায় মিটিয়েছেন। তবে দুই আলোচকই স্বীকার করেছেন, প্রথমত, জয়নুল শিল্পের নানা আধুনিক ফর্ম নিয়েছেন ইউরোপ হতে, শিল্পের উপাদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় লোক সংস্কৃতিকে প্রকৃতিকে ধারণ করেছেন। কিন্তু দুজনের আলোচনায় যেটি অনুপস্থিত, আধুনিক ফর্মের সাথে জয়নুল স্থানিক লোক সাংস্কৃতিক উপাদানকে কিভাবে মেলালেন?
আধুনিক শিল্পের মর্ম বুঝতে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, চিন্তার গুণগত মান। গুণগত মান বলতে মানবকেন্দ্রিকতা। মানবের মূল কেন্দ্রে সামাজিক উৎপাদন-কাঠামো। দ্বিতীয়ত শিল্পের প্রকাশভঙ্গি।তিনি প্রকাশভঙ্গিকে লড়াই হিসেবে দেখেননি। দেখেছেন রাজনৈতিক সচেতনতার জায়গা থেকে। কেননা তাঁর অঙ্কিত ইমেজ অস্তিত্বের সংকটের সম্মুখীন বা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংস্কৃতিতে ব্যস্ত। আর তৃতীয়ত আঙ্গিকের কাঠামো। আঙ্গিকের ক্ষেত্রে জয়নুল আধুনিক, দ্যর্থকতাহীন। পশ্চিমের দর্শন জগতে আধুনিকতা মূলত ধ্রপদী ধারণা আর প্রথাগত চিন্তাকে নাকচ করার ভেতর বিকশিত হয়েছে। মূল প্রতিপাদ্যে ছিল ‘এনলাইটেনমেন্ট’ ওর্ফে ‘সুবেহ সাদেক’। আর শিল্প-কারখানার উৎপাদন কাঠামো। পশ্চিমের সঙ্গে জয়নুলের মিল শিল্পবস্তু চিহ্নিতকরণে। তবে দুইয়ের বিভেদটা হচ্ছে উপাদানগত। পশ্চিমের উপাদান নয়া শিল্প বিপ্লব আর জয়নুল বস্তুগতভাবে কৃষি সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করেছেন। জয়নুল কারখানার জায়গায় কৃষিকেই বসিয়েছেন মাত্র। চিন্তার দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। ফলে জয়নুলের শিল্পকর্মে দেখা যায়, বাংলার গ্রামীণ জীবনের সংস্কৃতির দৃশ্যকল্পের প্রতিফলন। বাংলার কৃষি সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রকৃতি-কাঠামো এতে প্রোথিত আছে। দর্শনগত দিক হতে বিচার করলে দেখা যাবে, এই সংস্কৃতি এতদ অঞ্চলের ভেতরকার রূপ। প্রশ্ন হচ্ছে প্রকৃতি কাঠামোর এই রূপ কী?
তিরিশের দশক হতে সত্তর দশক পর্যন্ত জয়নুলের ছবি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, কৃষি সংস্কৃতির চিহ্নায়ণ। চিহ্ন মানে নিছক বাস্তব নয়। বাস্তব নির্দেশিত আঙ্গিকের আকার। যে উৎপাদন কাঠামো পুনরুৎপাদন কাঠামোর ভিতর শামিল থাকে। থাকে স্থানিক মানুষের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত আচরণগত বৈশিষ্ট্য। কেননা প্রকৃতি চিন্তার জন্ম দেয়। মানে চিন্তা ব্যক্তির অচেতনকে টোকা মারে। সেটা কেমন? দর্শন বলছে, ব্যক্তির ধরন দুই। ন্যাচারাল ম্যান আর আর্টিফিসিয়াল ম্যান (প্রাতিষ্ঠানিক বা কৃত্রিম ব্যক্তি)। আর আচরণ দিয়ে দুই ধরনের ব্যক্তিই প্রকৃতিকে বশে আনে। প্রকৃতি আর আচরণের ভেদবুদ্ধি তাকে একই সঙ্গে আধুনিক আর গ্রামীণ পটভূমি জয়নুলের চিত্রকর্ম শাসন করেছে। শাসন বলতে এখানে গ্রামীণ মানুষের আচার-আচরণ, হাসি-কান্না, লড়াই-সংগ্রাম, উৎসব-অনুষ্ঠান, বস্তু আর অবস্তুগত জীবনোৎপাদনেরই কলকাঠি। শিল্পে এই ধরনের কম্পোন্যান্টকে বলা যায় ন্যাচারাল এক্সপ্রেশন। এমন নহে যে, জয়নুল এই ধরনের কম্পোন্যান্টের বাইরের ছবি আঁকেন নাই। হয়তো কখনো কখনো তাঁর শিল্পকর্মে ‘অভাবী’ অথবা ‘এবস্ট্রাশন’ আর ‘ভাবি’ বা ‘এক্সপ্রেসেনিস্ট’ ভাবধারার দেখা মেলে। জয়নুল সমাজ বাস্তবতার ভেতরকার রূপ দিয়ে রাজনৈতিক কাঙ্ক্ষাকে সামনে আনতে চান। এটি কোন সংঘাত দিয়ে নয়, বরং সেটা মানবিক সমতা দিয়ে।
সংকলনের এক বাস্তবের সঙ্গে অপর বাস্তবের শিল্পগত সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ হলো আবুল হাসনাতের ‘ইমেজস অব ফেমিন’। তেতাল্লিশের মন্বন্তরের ফটোগ্রাফ আর জয়নুলের মন্বন্তর সিরিজের শিল্পকর্মের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। এতে সন্নিবেশিত হয়েছে সুনীল জানা আর উইলিয়াম ভ্যানডিভার্টের তোলা ঐতিহাসিক ছবি। হাসনাতের লেখায় সে সময়কার ঘটনার বিস্তৃতি ঘটেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, জয়নুলের দুর্ভিক্ষের শিল্পকর্মে কী আছে? সাদা চোখে, এই সব শিল্পকর্মকে নিছক বাস্তববাদ বলে মনে হবে। জয়নুলও সে কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তার অপর রূপ না ভাবলে ভেতর রূপ ধরা মুশকিল হবে। কেননা বাস্তববাদ বিশ্বাস করে, স্বাধীন পর্যবেক্ষণে বাস্তবের অস্তিত্ব। বাস্তব বাহ্যিক রূপ দেখে। বাস্তবে রূপকের জায়গা কম। আর প্রকৃতিবাদ প্রাত্যহিক বাস্তবতাকে ‘প্রতীকী’ বা ‘সিম্বলিক’ আর ‘আদর্শিক’ বা ‘আইডিয়ালিস্টিক’ ফর্মে দেখে। জয়নুলের দুর্ভিক্ষের চিত্রকর্মে দেখা যাবে, অস্থি আর হাড় একাকার হয়ে আছে। ব্যক্তির দৈহিক রূপে দুটোই আলাদা জিনিস। ফলে ‘বাস্তবতা’ ওর্ফে ‘রিয়েলিজম’ এখানে অস্থিটাকে দেখবে। কিন্তু প্রকৃতিতে বা ‘ন্যাচারালিজম’ অস্থি আর হাড় একই অঙ্গের দুই রূপ বস্তু। মানে দুই বস্তুর একই অঙ্গের রূপক। মানে এক রূপকের দুই রূপ। জয়নুলের দুর্ভিক্ষপীড়িত কঙ্কালসার মানুষকে বাস্তবের (রিয়েল) প্রতীক আকারে হাজির করেছেন। রূপক এই অর্থে- প্রকৃতির আচরণ হিসেবে দৈহিক আলাদা বস্তুর এক রূপকে বিদ্যমান। যা দেহের ইঙ্গিতময় ভাষা।
বাংলাদেশে শিল্পীদের শিল্পকর্মের ধরন, প্রকরণ, ফর্ম আর তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া বোঝার জন্য যে ধরনের এলবাম বা গ্রন্থ থাকা দরকার সেটা নেই বললেই চলে। তবে এই ক্ষেত্রে রোসার সম্পাদিত জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্মের সংকলনটি অনন্য। একজন শিল্পীকে বুঝতে এই ধরনের উপস্থাপনা বেশ ফলদায়ক। রোসার সম্পাদিত সংকলনটি ব্যক্তি জয়নুলকে জানা বোঝা আর শিল্পকর্মের চিন্তার জগৎ ধরতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে, নিশ্চয়ই!
তবে দুর্বল দিক হচ্ছে, প্রথমত আবুল মনসুর আর নজরুল ইসলামের গদ্যে একই চিন্তার উপস্থাপন। কেননা একই কথা বারবার উপস্থাপিত হলে সম্পাদনার মান ক্ষুণ্ণ করে। আখেরে উদাহরণ নমস্য নাস্তি! দ্বিতীয়ত, উপস্থাপিত গদ্যে জয়নুলের শিল্পকর্মের ঐতিহাসিক পাটাতন ভালোভাবে এসেছে। কিন্তু তাঁর শিল্পকর্মের পাটাতন বিশ্লেষণে খানিকটা ঘাটতি আছে। যথাযথ উপস্থাপনের জন্য সম্পাদনার ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা অবলম্বনের দরকার ছিল। বলা দরকার, জয়নুলের শক্তির দিক শিল্পের রেখা। ইহা ‘লক্ষণার চিহ্ন’ ওর্ফে ‘দি পারসুইট অব সাইন’। মানে বিন্দুকে সিন্ধুর সাথে মিশিয়ে দেওয়া। এই তরফে জয়নুলের চিহ্ন অপরাপর হতে আলাদা।
পরিশেষে, গ্রিক দার্শনিক থালেস কথাটা এখানে সতঃসিদ্ধ- জগতে ‘চিন্তার মতো সক্রিয় আর কিছু নাই।’ মানে চিন্তা দিয়ে জগতকে দেখার পথ স্থবির নয়। জ্ঞানগত জায়গায় ক্রিয়াশীল। তাহলে জয়নুলকে চিনব কিভাবে? দুই পদ্ধতিতে তাঁকে চেনা সম্ভব। একটি হচ্ছে তাঁর শিল্পকর্মের বিচার, অন্যটি হলো সাংগঠনিক তৎপরতা। দুই ফর্মে থালেসের এই সূত্র মানলে জয়নুল চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। শিল্পের দায় মেটাতে জীবনকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। জয়নুলের কৃতিত্ব এইখানে, শিল্পকর্মকে শুধু দৃশ্যবস্তুতে রূপান্তর নয়, বরং জীবনের রাজনৈতিক, সামাজিক আর অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে সামনে হাজির করেছেন।
তত্ত্বতালাশ
1. Zainul Abedin: Edited by Rosa Maria Falvo, Skira/ Bengal Foundation, Italy
2. The Conflict of Interpretations: Paul Ricoeur, edited by Don Ihde, continuum, London
3. The pursuit of signs: Jonathon Culler, Routledge, New York