দুয়ারে কড়া নাড়ছে বইমেলা, স্টল তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/26/book_thum.jpg)
দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। দুয়ারে কড়া নাড়ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এবারও এই গ্রন্থমেলা শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই। মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজনে আছে বাংলা একাডেমি। সে উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল মাঠজুড়ে পুরোদমে চলছে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। বিভিন্ন প্রকাশনীর স্টলের অবকাঠামো নির্মাণে তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ও আজ দুপুরে মেলার মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় এমনই সব দৃশ্য। করাতে কাঠ ও বোর্ড কাটার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে রাত অবধি, সঙ্গে চলছে ঠকঠক পেড়েক পোতার শব্দ। হাঁকডাকে ব্যস্ত করিগররা। তারা তৈরি করছেন স্টল ও প্যাভিলিয়নের অবকাঠামো। দু’একটি এক ইউনিটের স্টলের কাঠামো এরইমধ্যে দাঁড়িয়ে গেছে। বাকি শুধু কাউন্টার শেল্ফ তৈরি, রং-চঙ আর লাইটিং। নাট্যমঞ্চের পাশে পানকৌড়ি প্রকাশনের ৫৬৭ নম্বর স্টল দাঁড়িয়ে গেছে তার সাইনবোর্ডসহ। রৌদ্রছায়ার স্টলের কাজও প্রায় শেষের দিকে। যদিও পুরোপুরি সেজে উঠতে সময় লাগবে বলে জানান এই প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ রউফ। রং-চঙ লাইটিংয়ের পর ভেতরে কিছু সাজসজ্জা করতে হয় নিজেদেরই। তবে, এখনও কারিগর ঠিক করতে ব্যস্ত দেখা গেছে অনেক প্রকাশনীর মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের। তারা দামদর কষাকষি করছেন ঠিকাদারের সঙ্গে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/01/26/book_in_1.jpg 687w)
স্টল নির্মাণের মৌসুমি ঠিকাদার মো. আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, বইমেলা শুরু হতে সময় খুব বেশি নেই। হাতে অনেক কাজ। নতুন করে অনেকেই অর্ডার দিচ্ছেন স্টল নির্মাণের। অল্প সময়েই সবাইকে সময়মতো তৈরি করে দিতে হবে। আমার কর্মীরা কাজ করছেন। স্টল তৈরি, রং, লাইটিং, ফিটিংস মিলিয়ে অনেক কাজ থাকে একটি স্টলে। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই।
আরেকজন ঠিকাদার লিটনের সঙ্গে কথা হলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতবারের তুলনায় বোর্ডের দাম অনেক বেশি। কাঠের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে স্টল-প্যাভিলিয়ন তৈরির খরচ বেড়েছে। কিন্তু, সে অনুযায়ী দর জানালে প্রকাশকদের মন খারাপ হচ্ছে। তারপরও কাজের চাপ অনেক। কিছু তো করার নেই। এভাবেই চলছে সব।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/01/26/book_in_2.jpg 687w)
কথা বলে জানা যায়, দুই ভাবে স্টল তৈরির অর্ডার নিচ্ছেন ঠিকাদাররা। মেলা শেষে স্টল যদি ঠিকাদার নিয়ে যান, তবে এক ধরনের চুক্তি। আর যদি প্রকাশনীর মালিক বোর্ড, র্যাক নিয়ে যান তাহলে অন্য হিসাব। অনেকে আবার র্যাক দিলেও স্টলের দেওয়াল সাজাচ্ছেন কাপড় দিয়ে। সেক্ষেত্রে খরচ আরও কম।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, বোর্ড দিয়ে একটি স্টলে সর্বনিম্ন খরচ হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো। বোর্ডের সঙ্গে কাঠ জুড়লেই দাম বেড়ে যাছে অনেক। এরসঙ্গে একটু গুছিয়ে করতে গেলে তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৩০ হাজার। আর কাপড় দিয়ে করতে গেলে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকাতেই হয়ে যাচ্ছে স্টল গোছানোর কাজ। আর নিজের পছন্দে স্টল করতে গেলে খরচের সীমা নেই। ওটা অর্ডারের ওপর নির্ভর করছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/01/26/book_in_3.jpg 687w)
প্যাভিলিয়নের বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। সেখানের খরচও তাই গণ্ডিতে বাঁধা যাবে না। পছন্দসই প্যাভিলিয়নের জন্য ডিজাইন অনুযায়ী কম-বেশি হচ্ছে দর। ফলে এ বিষয়ে হিসাব বোঝানো মুশকিল বলে জানালেন ঠিকাদার-কারিগরেরা।