জীবনানন্দের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ
আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। কীর্তনখোলা নদীতীরের বরিশাল শহরে বগুড়া রোডের তৎকালীন সর্বানন্দ ভবনে ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মেছিলেন কবি। এ উপলক্ষ্যে নগরীর ব্রজমোহন কলেজে উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলার।
এ মেলা শনি, রোব ও সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। কবি এ কলেজে পড়াশুনা ও শিক্ষকতা করেছেন। মেলার পাশপাশি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উত্তরণ।
নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে কবির বাড়িতে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে একদিনের অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে উন্মুক্ত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ হবে।
আধুনিক বাংলা কবিতায় পরাবাস্তবতা সংযোজনের অন্যতম পথিকৃৎ এ কবিকে সাড়ম্বরে স্মরণের উদ্যোগ নিয়েছে তাঁর শৈশবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরিশাল নগরীর কালিবাড়ী সড়কে অবস্থিত ব্রজমোহন বিদ্যালয় (বিএম স্কুল)।
১৯০৮ সালে জীবনানন্দ দাশ বিএম স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন।এ স্কুল থেকেই ১৯১৫ সালে প্রথম বিভাগে তিনি এন্ট্রান্স পাস করেন। ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই হলরুম নামক বড় একটি ভবন চোখে পড়ে।এই ভবনেই বিভিন্ন কক্ষে ক্লাস করতেন জীবনানন্দ। কিছু সংস্কার ছাড়া কবির সময়ের ভবনটি এখনও অবিকল।
এখনও ভবনে হলরুমের দেয়ালে টানানো স্কুলের খ্যাতিমান প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ছবির মধ্যে কবির ছবিটি। আজ বিএম স্কুলে কবির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হবে। কবির স্মৃতির স্মারক স্কুলে হবে এ অনুষ্ঠান; যা আয়োজন করেছে জীবনানন্দ জন্মজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদ।
সম্প্রতি সন্ধান পাওয়া তাঁর লেখা ১৫টি গানের ৫টি পরিবেশিত হবে এ অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া জীবনানন্দের কবিতার সঙ্গে পরিবেশিত হবে কোরিওগ্রাফি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ কেউ প্রধান অতিথি থাকবেন না। জন্মজয়ন্তীতে আরও অনুষ্ঠান হচ্ছে কবির কর্মস্থল বিএম কলেজ প্রাঙ্গণে।