শিল্পকলায় নান্দীমুখের নাটক ‘আমার আমি’র মঞ্চায়ন শুক্রবার
রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন নান্দীমুখ এর প্রশংসিত নাটক ‘আমার আমি’ মঞ্চায়ন হবে আগামী ৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়। নাটকটির মঞ্চ, আলো, পোশাক ও সংগীত পরিকল্পনাসহ নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অসীম দাশ। এতে এক অভিনয় করেছেন করেছেন দীপ্তা রক্ষিত।
‘আমার আমি’ ইতিহাস আশ্রিত একটি মনোড্রামা। ইতিহাসের চরিত্রকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে এর নাট্যকাহিনি। বাংলা রঙ্গালয়ের প্রবাদপ্রতীম অভিনেত্রী শ্রীমতী বিনোদিনী দাসীর আত্মজীবনীই এই নাট্যের কাহিনি বিন্যাস। শ্রীমতি বিনোদিনী দাসীর জন্ম আনুমানিক ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার ১৪৫ কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে। মাত্র ১১-১২ বছর বয়সে ১৮৭৪ সালে তিনি প্রথম মঞ্চের প্রাদপ্রদীপের আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করেন গ্রেট ন্যাশানাল থিয়েটারে ‘শত্রুসংহার’নাটকের মধ্যদিয়ে। ক্রমেই তাঁর অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করেছিল মানুষের হৃদয়। মনীষীজনদের প্রশংসা এবং খ্যাতি ও ক্ষমতার চরম সিদ্ধির লগ্নে ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি রঙ্গালয়ে তাঁর অভিনয় জীবনের ইতি টানেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন তিনি অভিনয় ছেড়ে দিলেন? কী এমন ঘটনা ঘটেছিল? শ্রীমতী বিনোদিনী দাসী তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমার খাতা’, ‘আমার কথা’ও ‘আমার অভিনেত্রী জীবন’-এ তাঁর হৃদয়ে বপন করা যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। সেই যন্ত্রণারই এক প্রামাণ্যচিত্র ‘আমার আমি’।
মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করাটাই কী বিনোদিনীর অপরাধ? মেয়ে মানুষরা সস্তা হতে পারে, তবে তারা কী এতটা সস্তা? মুহূর্তে মুহূর্তে তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায়। আবার মুহূর্তেই কাছে টেনে নেওয়া যায়। এমন দোলাচলে মেয়েরা থাকতে পারে কী করে? বিনোদিনীর জীবনের সেই সত্যকে আবিষ্কারের চেষ্টা করা হয়েছে এই নাট্য নির্মিতে।