সত্তরের দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও রাজনীতি সচেতন কবি মাকিদ হায়দার (৭৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিঊন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।

আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকালে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার দুপরে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির উপ পরিচালক বিশিষ্ট সাহিত্যিক গবেষক ও প্রবন্ধকার ড. সাহেদ মন্তাজ।

তিনি জানান, দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। তবে কবিকে কখন কোথায় দাফন করা হবে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেননি।

তাকে বিকেলে পাবনায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় মাকিদ হায়দার বাংলা একাডেমিসহ দেশের উল্লেখযোগ্য সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। 

কবি মাকিদ হায়দারের জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাবনার দোহারপাড়ায়। তার বাবা হাকিমউদ্দিন শেখ ও মা রহিমা খাতুন।

তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাংলা সাহিত্যকে আলোকিত করেছেন এবং তারা স্বনামে পরিচিত। মাকিদ হায়দারের ভাইদের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন নাট্যকার জিয়া হায়দার ও রশিদ হায়দার। আরেক ভাই কবি দাউদ হায়দার। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন জাহিদ হায়দার, আবিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার। তারা প্রত্যেকেই সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত।

মাকিদ হায়দারের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রোদে ভিজে বাড়ি ফেরা (১৯৭৬), আপন আঁধারে একদিন (১৯৮৪), ও পার্থ ও প্রতিম (২০০৭), কফিনের লোকটি (২০১১), যে আমাকে দুঃখ দিলো (২০১২), প্রিয় রোকানালী (২০১৩), মুমুর সাথে সারা দুপুর (২০১৪)।  এ ছাড়াও তার একটি গল্পগ্রন্থ ও একটি প্রবন্ধের বই রয়েছে।