ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আহমেদ আল আমীন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল লেখক আহমেদ আল আমীন। ২০২৪ সালে অমর একুশে বইমেলায় রুশদা থেকে প্রকাশিত খলনায়ক উপন্যাসের জন্য তিনি কথাসাহিত্য বিভাগে এই পুরস্কার পেয়েছেন। এটি তার প্রথম উপন্যাস। আহমেদ আল আমীন একাধারে একজন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার ও পরিবেশ কর্মী, সমাজসেবক এবং সাংবাদিক।
গেল বুধবার দুপুরে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মানবজমিনের সম্পাদক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মাহবুবা চৌধুরীর কাছ থেকে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ এবং সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম; নজরুল গবেষক ও আশি লক্ষ ভােরের কবি আবদুল হাই শিকদার এবং কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক ড. মাহবুব হাসান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি দিতে প্রতিবারের মতো এবারও ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননার আয়োজন করা হয়। এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন আরও দুজন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ এবং মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন। এছাড়াও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন আরও ২৩ সাংবাদিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক মাহবুবা চৌধুরী বলেন, লেখক-সাহিত্যিকগণ সমাজের দর্পণ। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুল-ত্রুটি, ভালো-মন্দ, অসংঙ্গতি তুলে ধরতে পারেন। নিরেট আনন্দ দিতে পারে পারেন। নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প, ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে। তিনি আরো বলেন, যে কোনো মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চায়। তবে লেখক হোক, গায়ক বা অভিনয় শিল্পী হোক, তিনি কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করেন না। কিন্তু কাজ করতে করতে যখন পুরস্কার পান, কাজের স্বীকৃতি পেলে, তার কাজের স্পৃহা আরো বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা।