ফয়েজ আলমের কবিতায় চারুকণ্ঠের আবৃত্তি আয়োজন ‘বিনম্র রোদের ছায়া’
চারুকণ্ঠ আবৃত্তি সংসদের ত্রৈমাসিক আবৃত্তি আয়োজন ‘বিনম্র রোদের ছায়া’র সাঁইত্রিশতম পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় কবি ফয়েজ আলমের কবিতা নিয়ে। রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক ছিলেন কবি ও কথাশিল্পী জোহরা পারুল এবং গবেষক ও নাট্যসমালোচক আবু সাঈদ তুলু।
এবারের পর্বটি দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে চারুকণ্ঠের ও আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীরা কবির কবিতা আবৃত্তি করেন। দ্বিতীয় পর্বে কবির কবিতা ও চিন্তাজগতের নানাবিধ বিষয় নিয়ে তথ্য ও তত্ত্বগত দিকের আলোকপাত করেন গবেষক ও নাট্যসমালোচক আবু সাঈদ তুলু এবং কবির লেখার সময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন কবি ও কথাশিল্পী জোহরা পারুল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই চারুকণ্ঠের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম মোরশেদ স্বাগত বক্তব্যে ‘বিনম্র রোদের ছায়া’র প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এরপর চারুকণ্ঠের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রোজি কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে কবির কবিতা আবৃত্তি করেন দিলশাদ জাহান পিউলী (আমার হরফেরা), সুসমিতা হক (জলছাপে লেখা : এক), রুবাইয়া রুমকি (কানার বাজার), আনোয়ার পারভেজ (আমার পায়ে হাঁটা পথগুলি), কাজী রাজেশ (আমার না পাওয়াগুলি), অনন্যা সাহা (সিনেমা দেখার আগে), মুরাদ হোসেন (ভুইলা গেছিলাম আমাদের জেবে কিছু গান ছিল),সৈয়দ আশিকুল ইসলাম (ক্লাইভের চেয়ারের নিচের আন্ধার), মোফাজ্জেল হোসেন সবুজ (স্বপ্নের ভিতর), জেসমিন বন্যা (উপনিবেশের দাগ), হিমেল অনার্য (দাদির কুপি বাত্তি), আসমা মালিহা (আমার মেয়েরা যখন কীবোর্ড বাজায়), জিএম মোরশেদ (আমার ছোটবেলার স্বাধীনতা), শিখা সেনগুপ্ত (ফিলিস্তিন), ফয়জুল আলম পাপপু (পথের লেখা- এক ও দুই), রফিকুল ইসলাম (ফিরতি পথ), মুহ. সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ (গ্লোবাল ভিলেজ) ও ফারজানা রোজী (ফিলিস্তিন : দুনিয়ার বুকে এক ক্ষত)।
দ্বিতীয় ও শেষ ভাগের শুরুতে কবি ও অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট তুলে দেন চারুকণ্ঠের সদস্যরা। এ পর্বে সভপতিত্ব করেন চারুকণ্ঠের সহ-সভাপতি আনোয়ার পারভেজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রশান্ত অধিকারী।

নিজস্ব প্রতিবেদক