আ.লীগই জনগণের গায়ে হাত তুলেছে, পেটে লাথি মেরেছে : প্রিন্স
বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই জনগণের গায়ে হাত তুলেছে, পেটে লাথি মেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
আজ সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের অনৈতিক অপশাসন টিকিয়ে রাখতে জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজি করে জনসাধারণকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের আয় সংকুচিত হয়ে গেছে। দেশে আজ নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। তাদের হাতে প্রতিনিয়ত মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত, অপমানিত হচ্ছে। অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। আওয়ামী লীগকে দেখলেই মানুষ আতঙ্কে থাকে।
আজ কিশোরগঞ্জে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ, হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে প্রিন্স বলেন, গুলি চালিয়ে, হামলা করে কোনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী স্বৈরাচারও টিকে থাকতে পারবে না।
দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর কথা বলছে সরকার দাবি করে প্রিন্স বলেন, সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন জনগণ ও বিশ্ববাসী ওয়াকিবহাল এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাদের অনৈতিক শাসন টিকিয়ে রাখতে র্যাবকে দিয়ে গুম খুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখনও নানা বাহানা করে নাটক মঞ্চস্থ করে নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে পারবে না সরকার।
গতকাল ঢাকায় আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ২০১৫ সালে বিএনপির আন্দোলনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ জোরপূর্বক পরিবহণ চালিয়ে এবং বিভিন্ন সংস্থা ও দলীয় কর্মীদের দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করিয়ে তার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগের এক অঙ্গ সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি কর্তৃক তার বিহঙ্গ পরিবহণের বাসে আগ্নিসংযোগ করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, পরবর্তী সময়ে ওই নেতার নির্বাচনি এলাকার নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে সেই গোমর ফাঁস করে দিয়েছে। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে। এভাবেই আওয়ামী লীগ নিজেরা অগ্নি সন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র করেছে। এখন এত বছর পর এসব নিয়ে নাটক করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব করে সরকার নিজেদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, দুর্নীতি, দুঃশাসন আড়াল করতে পারবে না এবং আন্দোলনও দমাতে পারবে না।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহর সভাপতিত্বে ও আবু হাসনাত বদরুল কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম ও জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, আলী আশরাফ, বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজিম উদ্দিন, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নীলু ,বিএনপিনেতা আবদুল হাই, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মিজানুর রহমান, মোনায়েম হোসেন তালুকদার, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আবদুল আজিজ খান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুজ্জামান আসিফ, যুবদলের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, তাঁতী দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মশিউজ্জামান, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক অনন্ত।