দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখলে নিতে হামলা এবং অস্ত্রবাজি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। নির্বাচনের সাত দিন পর আজ সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে হামলার ঘটনায় ৫১ জন এবং অস্ত্রবাজি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি হলেন—মোহাম্মদ সামশুদ্দিন নিশান (২৩) ও জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়া (৪৮)। তাঁরা দুজনই নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেনের অনুসারী বলে জনশ্রুত রয়েছে।

সাতকানিয়ায় সংঘটিত অস্ত্রবাজির ঘটনা নিয়ে আজ দুপুরে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রশিদুল হক।

জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জানান, সাতকানিয়ার ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় দুটি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। সেদিনের ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মোট ২৩টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ভোটের পরদিন থেকে মোট ১৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে খাগরিয়ায় অস্ত্রবাজিতে জড়িত সামশুদ্দিন নিশানকে খাগরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জোড়ারকুল সাচি মিয়ার বাড়ির নির্মাণাধীন ঘরের একটি কক্ষ থেকে সাদা প্লাস্টিকের মোড়ানো একটি ব্যাগ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরখীল বাদশার বাড়িস্থ দারোগা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাশের ধানের গোলার নিচ থেকে একটি একনলা লম্বা বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন এসপি।

এ সময় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন) আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জাহাঙ্গীর আলম, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।