প্রেম-জুয়ার ফাঁদ, মিয়ানমারে ৩৫০ বিদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার
থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী একটি বড় অনলাইন প্রতারণা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫০ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এই অভিযানটি দেশটির সীমান্তের অবৈধ কালোবাজারি চক্রগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
মিয়ানমারের যুদ্ধবিধ্বস্ত সীমান্ত এলাকায় গড়ে ওঠা এই প্রতারণা কেন্দ্রগুলো থেকে প্রেমের ফাঁদ ও ব্যবসায়িক জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের প্রতারণা চালানো হয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, বিশেষ করে প্রধান সামরিক সমর্থক চীনের অনুরোধে সামরিক জান্তা এই চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘শুই কোক্কো’ নামক জুয়া ও প্রতারণার কেন্দ্রে হানা দেয়। অভিযানে ৩৪৩ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অপরাধের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত প্রায় দশ হাজার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সামরিক জান্তার দাবি, তারা আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোই এতদিন এসব প্রতারণা কেন্দ্রকে সুরক্ষা দিয়ে আসছিল।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, চীনা-কম্বোডিয়ান অভিযুক্ত র্যাকেটিয়ার শে ঝিচিয়াংয়ের ইয়াতাই প্রতিষ্ঠানটি এই শুই কোক্কো এলাকা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিল। ঝিচিয়াংকে ২০২২ সালে থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সপ্তাহে তিনি চীনে প্রত্যর্পিত হয়েছেন, যেখানে তিনি অনলাইন জুয়া ও প্রতারণার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে মানব পাচার ও অনলাইন জালিয়াতির বড় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক